ফিলিস্তিনের পক্ষে আইসিজেতে যুক্তি তুলে ধরবে বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২৪ | ৬:২৪ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

ফিলিস্তিনে ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আগামীকাল (মঙ্গলবার) আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) যুক্তি তুলে ধরবে বাংলাদেশ। এদিন দক্ষিণ আফ্রিকা, আলজেরিয়া, সৌদি আরব, নেদারল্যান্ডস, ও বেলজিয়ামও ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করবে। খবর আল-জাজিরার আইসিজেতে সোমবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজা, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে দখলদারিত্ব বিষয়ক শুনানি শুরু হয়েছে। আদালতটির ১৫ বিচারপতি প্যানেলের সব সদসের উপস্থিতিতে সোমবার এ শুনানি শুরু হয়। ছয়দিন চলবে এটি। আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের বিরুদ্ধে অভিযোগের এ মামলায় ৫২টি দেশ ও তিনটি সংস্থা তাদের যুক্তি উপস্থাপন করবে। এর মধ্যে আজ কয়েকটি দেশ যুক্তি তুলে ধরেছে। সোমবার ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন দেশটির প্রতিনিধি পল রিচলার। এ সময় তিনি এসব অঞ্চলে ইসরাইলের অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান দাবি করেন এবং গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের দখলদারিত্বের আইনি পরিণতি সম্পর্কে তাদের যুক্তি উপস্থাপন করেন। এদিন ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিরা দেশটির জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলের বৈষম্যমূলক আচরণ বর্ণবাদের সমতুল্য বলে ঘোষণা দিতে আইসিজের প্রতি আহ্বান জানান। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ আইসিজেকে গাজা, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে ইসরাইলের অবৈধ দখলদারিত্ব বিষয়ক অভিযোগ তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছিল। সেই তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতেই দেশটির বিরুদ্ধে এবার শুনানি শুরু হয়েছে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দখল, বসতি স্থাপন এবং নিজেদের সীমানা বর্ধিতকরণের মাধ্যমে ১৯৬৮ সালের নির্ধারিত সীমানার বিকৃতির অভিযোগ উঠেছিল। আর তদন্তে এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে আইসিজের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স। এছাড়া ১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্যের আল-আকসা অঞ্চলে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনের সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছিল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। কিন্তু মৌখিকভাবে তাতে স্বীকৃতি দিলেও ইসরাইল প্রকৃতপক্ষে সেই সীমানা লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে দেশটির বিরুদ্ধে। আইসিজের তদন্তে উঠে এসেছে, ১৯৬৭ সাল থেকেই বিভিন্নভাবে পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমের সীমানাভুক্ত এলাকা দখল করছে ইসরাইল। আবাসন নির্মাণের মাধ্যমে সেখানে ইহুদি বসতকারীদেরও নিয়ে আসা হচ্ছে। সেই সঙ্গে নানা বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণের মাধ্যমে এই দুই অঞ্চলের ফিলিস্তিনিদের চাপে রাখার কৌশলও বজায় রেখেছে দেশটি।