দেশে এখন কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে রেখে সরকার জরিমানা (ক্যাপাসিটি চার্জ) দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। রোববার জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সম্পূরক প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, এখনো সারা দিন বিদ্যুৎ থাকে না। তার নির্বাচনি এলাকা কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে সারা দিন বিদ্যুৎ নেই। প্রতিদিন লোডশেডিং হচ্ছে। এখনো গরম আসেনি। রেন্টাল কুইক রেন্টালে গত ১০ বছরে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা জরিমানা দেওয়া হয়েছে। বসিয়ে বসিয়ে এখনো দেওয়া হচ্ছে, তাহলে বিদ্যুতের অভাব কেন? কেন লোডশেডিং? জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সারা দেশে সারা দিন বিদ্যুৎ থাকে না- এটা স্বপ্নে এখন দেখা যেতে পারে। কয়েক ঘণ্টা হয়ত থাকতে পারে। আমরা এখন কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে রেখে জরিমানা দিচ্ছি না। তবে কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ না নিলে তাকে অবশ্যই ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে।’ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ওনার এলাকায় বিদ্যুৎ থাকে না- এটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। সব সংসদ সদস্য একবাক্যে স্বীকার করবেন, সারা দিন কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ থাকে না, এটা ঠিক নয়।’ এ সময় মুজিবুল হক চুন্নুকে দাঁড়িয়ে দ্বিমত পোষণ করতে দেখা যায়। তবে তিনি কী বলছিলেন মাইক বন্ধ থাকায় তা শোনা যায়নি। তখন প্রতিমন্ত্রী বলেন, হতে পারে তার (মুজিবুল হক চুন্নু) ইউনিয়নে কোনো একটা ট্রান্সফরমারে কোনো একটা সমস্যা হয়েছে অথবা ট্রান্সমিশন লাইন চলে গেছে। সেটি মেরামত করতে সময় লেগেছে। নসরুল হামিদ আরও বলেন, উনি (মুজিবুল হক চুন্নু) হয়ত বলতে গিয়ে সারা দিন বলে ফেলেছেন। কয়েক ঘণ্টার বিষয়। সরকার নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে কাজ করছে। এমন নিরবচ্ছিন্ন, যাতে এক মিনিটও বিদ্যুৎ না যায়। এটাতে সময় দিতে হবে। এদিকে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম তার সম্পূরক প্রশ্নে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চান- যারা শিল্পের সঙ্গে জড়িত, তারা প্রতিমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। মন্ত্রী আশ্বস্ত করেছিলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ পাওয়া যাবে। গত ৭-৮ মাস সেটি তারা দিয়ে আসছেন, কিন্তু নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস পাচ্ছেন না। অধিকাংশ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে।এ বিষয়ে কী করা হবে? জবাবে প্রতিমন্ত্রী নসরুল বলেন, সংসদ সদস্য যদি সুনির্দিষ্টভাবে বলেন কোন কোন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গ্যাস পাচ্ছেন না, সেটা জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অধিকাংশ শিল্প এলাকায় গ্যাস নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আমরা চেষ্টা করছি।