চীন-যুক্তরাষ্ট্রের টানাপোড়েনের মধ্যে থেকেও এশিয়ার শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠছে ইন্দোনেশিয়া। বিশ্ব রাজনীতিতে বেইজিংয়ের উত্থানে বাণিজ্য সুবিধা নিচ্ছে তারা। অন্যদিকে কৌশলগত কারণে সুসম্পর্ক ওয়াশিংটনের সঙ্গেও। চলতি বছর দেশটির জিডিপি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলারে। এটি এশিয়ায় পঞ্চম সর্বোচ্চ। চলতি বিশ্বের দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। প্রতিনিয়তই আছে একে অন্যকে পেছনে ফেলার লড়াইয়ে। তবে ওয়াশিংটন বা বেইজিংয়ে প্রভাব বলয়ে না ঢুকেও শক্ত অর্থনীতির ওপর দাঁড়াচ্ছে এশিয়ার আরেক দেশ ইন্দোনেশিয়া। ২৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষের এই দ্বীপরাষ্ট্রটি জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে চতুর্থ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিও তাদের। চলতি বছরে ইন্দোনেশিয়ার জিডিপি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলারে। ভূ-রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেও অব্যাহত রয়েছে এই ধারা। আর তা সম্ভব হচ্ছে কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে। ইন্দোনেশিয়াকে চীন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী বললেও, জাকার্তাকে বেইজিং নিয়ন্ত্রণ করছে বলে ধারণা পশ্চিমা বিশ্বের। তবে এসবে নাক না গলিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকেই এগুচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। এদিকে বিশ্ব অর্থনীতিতে বেইজিংয়ের উত্থানের সুবিধা নিচ্ছে তারা, অন্যদিকে কৌশলগত অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গেও সম্পর্ক সুদৃঢ় করছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, এর মধ্যেও রয়েছে মার্কিন আধিপত্য কমার ইঙ্গিত। সে কারণেই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বিশেষ নজর দিচ্ছে ।