রাজধানীর উত্তরায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে পিত্তথলিতে অপারেশন করাতে গিয়ে শামিমা আক্তার মুন্নি (৩৮) নামের এক নারীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শামিমার স্বজনরা জানান, বমি ও পেটের ব্যথা নিয়ে তারা গাজীপুর থেকে উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত হাই কেয়ার জেনারেল হাসপাতালে মুন্নিকে ভর্তি করালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডাক্তার জানান শামিমার পিত্তথলিতে পাথর হয়েছে, অপারেশন করাতে হবে। গতকাল (সোমবার) সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে ডা. নাজিবুল ইসলাম পিত্তথলির অপারেশন করান। শামিমার ভাই শফিকুল বলেন, আমরা নিউরোলজিস্ট ডা. মনিরুজ্জামান মিয়ার পরামর্শে এই হাসপাতালে এসেছিলাম। তিনি আমাদের বলেছিলেন এই হাসপাতালে ডা. মহিদুজ্জামান টনি বসেন। সবাই মিলে তারা অপারেশন করবেন। কিন্তু অপারেশন করেছেন ডা. মহিদুজ্জামান টনির মেয়ের জামাই। তিনি অভিযোগ করে বলেন, মাত্র আধা ঘণ্টার একটা অপারেশন তারা ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত কী করেছে না করেছে কিছুই জানি না। অপারেশনের মাঝেই আমাদেরকে বলেছে ব্লাড লাগবে। আমরা ডোনার এনে ব্লাড সংগ্রহ করেছি। অপারেশনের পরপরই সব ডাক্তার চলে যান। পরে ডিউটি (কর্তব্যরত) ডাক্তার এসে বলেন যে, রোগীর অবস্থা খারাপ রোগীকে আইসিইউতে নিতে হবে। শফিকুলের আরও অভিযোগ করে বলেন, গতকাল (সোমবার) থেকেই আমরা বুঝছিলাম কোনো একটা সমস্যা হচ্ছে। ডাক্তাররা বলছিল- ডোনারের ব্লাডে নাকি সমস্যা ছিল, আবার কেউ বলছে অ্যানেস্থেশিয়া বেশি হওয়ায় জ্ঞান ফিরতে দেরি হচ্ছে। সবশেষ আজ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১১টায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় আমাদের রোগী নাকি ডেথ! আমার বোনের এই মৃত্যুর পেছনে ডাক্তারের ‘ভুল চিকিৎসা’ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ‘গাফিলতি’ রয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। চিকিৎসা নিতে এসে রোগীর মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে হাই কেয়ার জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপক ওমর ফারুক বলেন, স্যাররা (ডাক্তাররা) আমাদেরকে বলেছেন ল্যাপারোস্কপির মাধ্যমে রোগীর পিত্তথলির অপারেশন সম্ভব হচ্ছিল না তাই এটা ওপেন করতে হবে। দীর্ঘ সময়ের অপারেশন। এক্ষেত্রে কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে সমস্যা হয়, এই রোগীর ক্ষেত্রেও হয়েছে। তার (রোগীর) হার্ট কম কাজ করছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে রোগীটা মারা গেল।