দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে গাজা, যে শর্তে যুদ্ধবিরতির চায় হামাস

প্রকাশিতঃ ফেব্রুয়ারী ২৯, ২০২৪ | ৯:২০ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য বেশ কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। এখনো চলছে বৈঠক। এ বিষয়ে হামাসের এক জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, আলোচনায় আপত্তি না থাকলেও, সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার চায় তারা। খবর আলজাজিরা। এদিকে রাফায় স্থল অভিযান ইস্যুতে নেতানিয়াহু সরকারকে সতর্ক করেছেন ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইহুদ ওলমার্ট। কয়েক লাখ ফিলিস্তিনির শেষ আশ্রয় রাফায় হামলা হলে এর ফল ভয়াবহ হবে সতর্ক করেন তিনি। প্রায় ৫ মাস ধরে চলা ইসরাইলি আগ্রাসনে মৃত্যুপুরী গাজা উপত্যকা। অনাহারে থাকা শিশুর কান্নায় ভারি হয়ে উঠছে উপত্যকার বাতাস। সেইসাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রাণহানি। যাদের একটি বড় অংশই শিশু। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব বারবার প্রত্যাখ্যান করে গাজায় হামলা জোরদারে বন্ধ পরিকর ইসরাইল। যার বর্তমান লক্ষ্য রাফা। এদিকে রাফায় স্থল অভিযান ইস্যুতে নেতানিয়াহু সরকারকে সতর্ক করেছেন ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইহুদ ওলমার্ট। কয়েক লাখ ফিলিস্তিনির শেষ আশ্রয় রাফায় হামলা হলে এর ফল ভয়াবহ হবে সতর্ক করেছেন তিনি। সাবেক এই ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাফায় অভিযান চালানোর অর্থ হবে, বিশ্ববাসীর ধৈর্য্যের বাধ ভেঙে দেওয়া। ইসরাইলি বাহিনীর ক্রমাগত হামলায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক হাসপাতাল। সব শেষ জ্বালানি সংকটে কামাল আদওয়ান হাসপাতালের সকল কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে গেছে। অপুষ্টির কারণে হাসপাতালটিতে প্রাণ গেছে ৪ শিশুর। জাতিসংঘের কৃষি বিষয়ক সংস্থা এফওএর তথ্য মতে গাজার এক-চতুর্থাংশেরও বেশি পানির উৎস ধ্বংস হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৬ শতাংশ ফসলি জমি। জ্বালানি সংকটে মিলছে না প্রয়োজনীয় ত্রাণ। এমন পরিস্থিতিতে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে অবরুদ্ধ গাজার এক-চতুর্থাংশ বাসিন্দা। জাতিসংঘের হিসেবে গাজায় ৩ লাখ ৬০ হাজার ভবন সম্পূর্ণ কিংবা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাধ্য হয়ে পরিত্যক্ত এসব ভবনেই আশ্রয় নিয়েছেন অসংখ্য ফিলিস্তিনি। এদিকে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান ইস্যুতে ইসরাইলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দুরত্ব ক্রমেই বাড়ছে। বুধবারও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের শর্তে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ইসরাইলের জ্বালানী মন্ত্রী এলি কোহেন।