বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এজাবুল হকের বিরুদ্ধে অনিয়ম অশ্লীলতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ

প্রকাশিতঃ মার্চ ৫, ২০২৪ | ২:০৭ অপরাহ্ন
মোঃ ফয়জুল ইসলাম উপজেলা সংবাদদাতা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর

জেলা শহরের সদ্য সরকারিকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ এজাবুল হক এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, অশ্লীলতা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষকদের হুমকী দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের প্রভাষক সৈয়দা রেহানা আশরাফী কর্তৃক জেলা প্রশাসক বরাবর এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগে তিনি বলেছেন, ‘অধ্যক্ষ মোঃ এজাবুল হক তার ছবি তুলে তা ভাইরাল করার হুমকী দেয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশাসনিক ও মানসিক হয়রানি করে আসছেন। অধ্যক্ষ মোঃ এজাবুল হক কর্তৃক ইভটিজিং, র‌্যাগিং, কলেজ চত্বরের বাইরে আমাকে দেখে নেয়ার হুমকী, আমাকে পেশাগত ক্ষতি করার নিমিত্তে একের পর এক কারণ দর্শানো নোটিশ দেবার ঘোষণা দিয়ে আমাকে মানসিক এবং শারীরিক ভাবে অসুস্থ করে তুলেছেন। ইতোপূর্বে ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক রোকেয়া খাতুন এর জেলা প্রশাসক বরাবর দেয়া একটি আবেদনের তদন্ত (তদন্ত প্রতিবেদন জমা হলেও প্রকাশ হয়নি) হওয়ার পর থেকে আমাকে হয়রানি এবং অসদাচারণ করে তিনি প্রায়ই মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছেন। অতি সম্প্রতি অর্থনীতি এবং বাংলা বিষয়ের শিক্ষক তাদের ব্যক্তিগত ইস্যু নিয়ে জেলা প্রশাসকের শরণাপন্ন হওয়ার পর জেলা প্রশাসক এর অপর একটি তদন্তের পর অধ্যক্ষ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার ষঢ়যন্ত্রমূলক মিথ্যে পদক্ষেপ নিয়েই চলেছেন। গত ১৯/১০/২০২৩ তারিখ জীব বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষকের প্রতি অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে অধ্যক্ষ মারমুখী ও হুমকীমূলক আচরণ করেন। যে কোন তুচ্ছ বিষয় নিয়ে অধ্যক্ষ কলেজে বাধ্যতামূলক রুদ্ধদ্বার মিটিং, সাদা কাগজে স্বাক্ষরসহ আমাকে র‌্যাগিং এবং প্রশাসনিক হয়রানি করে থাকেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘নারীর উপর সহিংসতা ও হয়রানির বিরুদ্ধে রাষ্ট্র জিরো ট্রলারেন্স নীতি গ্রহণ করার পরও অধ্যক্ষ নারী শিক্ষকের প্রতি অসদাচরণ করে আসছেন। আর অধ্যক্ষ প্রায়ই বলে থাকেন যে,-‘রাষ্ট্রের এবং প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাথে আমার যে ঘনিষ্ঠতা, তাতে কেউ আমার কিছু করতে পারবেনা এবং আমি আপনাদের মোবাইল ট্র্যাক করি।’ তার এমন দম্ভ, অনিয়ম, ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়ায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আবেদন করতে বাধ্য হয়ে পড়েছি।’ সৈয়দা রেহেনা আশরাফী কর্তৃক জেলা প্রশাসক বরাবর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের সাথে জমা দেয়া কপিগুলোতে তার ছবি তুলে ভাইরাল করার হুমকী প্রদান, চাকরী স্থায়ীকরণে প্রতিবন্ধকতার হুমকী, ছুটির আবেদন মঞ্জুর না করে অনুপস্থিতির সীল দেয়া এবং বিধি বহির্ভূতভাবে তিন দিনের বেতন কর্তন ও জমা না দেয়া পর্যন্ত বেতন ফরোয়ার্ড না করার হুমকী প্রদান, একের পর এক কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়ে তাকে পর্যুদস্ত করা এবং পেশাগত ক্ষতি সাধনের হুমকী, বিগত কয়েক মাস সময়মত বেতন ফরোয়ার্ড না করা, গত ১৪/০৯/২০২৩ খ্রীঃ তারিখ কলেজে উপস্থিত হওয়ার পরও অনুপস্থিত সীল দেয়া, শিক্ষক হয়রানি ও চাঁদাবাজি করার অংশ হিসেবে ৩টি হাজিরা খাতা ব্যবহার করা, হাজিরা খাতায় ব্যক্তি বিশেষে প্রশ্নবোধক (?) চিহৃ দেয়া ইত্যাদি অভিযোগ করেছেন। এদিকে এ বিষয়ে তথ্য পাওয়ার পর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সরকারি কলেজ এর সার্বিক বিষয়ে সরজমিন তদন্তে গেলে বেরিয়ে আসে আরো অনেক অনিয়ম এর তথ্য। এ সবের মধ্যে রয়েছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে চার্জশীটভুক্ত ফৌজদারী মামলা থাকলেও তিনি মামলা নাই মর্মে মাউশিতে তথ্য দিয়েছেন। অথচ তার নামে নবাবগঞ্জ সদর থানার মামলা নং-২২, তারিখ-১৩/০৬/২০০৭, ধারা-৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭, জিআর নং-২৩১/২০০৭ (ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট), সেশন মামলা নং-১৮১/২০০৭, নবাবগঞ্জ থানার চার্জশীট দাখিলের তারিখ-১১/০৮/২০০৭, চার্জশীট অভিযোগপত্র নং-২৬৫। হাইকোর্টে রীট করা আছে যার পিটিশন নং-৭৪২৫/২০০৭। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরো বেশ কিছু মামলা রয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে। বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের আইন অম্যান্য করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি বা টেন্ডার ছাড়া অধ্যক্ষ সম্প্রতি কলেজ এর কয়েকটি বড় বড় গাছ অবৈধভাবে কেটে বিক্রি করেছেন। কলেজে ক্লাস রুম সংকট থাকা স্বত্তে¡ও অধ্যক্ষ একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলার ৩০৩ নং রুমকে আবাসিক হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। এমনকি এ রুমে অবস্থান করেও তিনি অফিস সময়ে রুম থেকে না নেমে ক্লাস চলাকালীন সময়ে রুম থেকে বের হন যা প্রতিষ্ঠান পরিপন্থি ও দৃষ্টিকটু বলে কলেজের ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছেন। কলেজ প্রান্তরে অবস্থিত আম বাগানে প্রতি বছর পর্যাপ্ত পরিমাণ আম ধরলেও তিনি তা বিক্রির অর্থ কলেজের হিসাব-নিকাশ এর সাথে সমন্বয় করেননা। সহকারী লাইব্রেরীয়ান থাকা সত্তে¡ও তার জন্য নির্ধারিত বিশেষ রুমে অধ্যক্ষ তালা দিয়ে রেখেছেন। এছাড়া কলেজ লাইব্রেরীতে বই এর কোন ব্যবস্থা রাখার দিকে অধ্যক্ষের কোন ভ্রæক্ষেপ নেই। এতে করে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের লেখা পড়ার মান ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। প্র্যাকটিক্যাল ল্যাবের জন্য কোন উপরকরণ নেই। ফলে সারা বছর প্রদর্শকরা কোন প্রকার প্রাকটিক্যাল না করিয়ে বেশ আরাম আয়েশে চাকরী করে আসছেন। তিনি বিশেষ বিশেষ সময়ে চাঁদাবাজি করার কৌশল হিসেবে অবৈধভাবেই শিক্ষকদের মূল যোগদান পত্র, আর্টিকেল ৪৭ সহ বিভিন্ন কাগজ-পত্র আটকিয়ে রেখেছেন বলেও কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করেছেন। কলেজ সরকারিকরণ হওয়ার পর অধ্যক্ষ নিজের হাতে ডিডিও ক্ষমতা থাকায় প্রায় ১২ মাসের বেতন ইএফটি এর মাধ্যমে গত ফেব্রæয়ারী ২০২৩ মাসে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। কারণ এর আগে এই ১২ মাসের বেতন তিনিসহ কলেজের সকল শিক্ষক-কর্মচারী এমপিও এর মাধ্যমে উত্তোলন করেন। আর জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে গত ১৬/০৮/২০২৩ তারিখ এ টাকা ফেরত দানের জন্য লিখিতভাবে চিঠি দিয়েছিলেন। তিনি জানতেন যে, এ বেতন তার প্রাপ্য নয়, তারপরও তিনি আবারও ১২ মাসের বেতন তুলে আত্মসাৎ করার চেষ্টা করেছিলেন বলে জেলা হিসাব রক্ষণ অফিস সূত্র বলেছে। অধ্যক্ষ নিয়মিত কলেজে উপস্থিত থাকেননা বলে অভিযোগ রয়েছে। আর যখন থাকেন তখন অনিয়মতান্ত্রিকভাবে তিনি এক এক দিন এক এক সময় কলেজ ছুটি দেন। দুপুর ২টা থেকে ৩টার মধ্যে শিক্ষকদের ছুটি দিলেও মূল হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করানোর পর আরো প্রায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত ৩/৪ জন মহিলা শিক্ষককে শিক্ষক মিলনায়তনে বসিয়ে রেখে মানসিক নির্যাতন করে থাকেন বলে এ শিক্ষকরা জানিয়েছেন। কলেজ সরকারিকরণের পর কলেজে কয়েকবার অনুষ্ঠিত বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কম্পোজ, খাতা মূল্যায়ন ও হল পরিদর্শকের দায়িত্ব পালনের সম্মানী টাকা তিনি গড়িমসি করে আসছেন এবং এ বিষয়ে বলতে গেলেই অধ্যক্ষ আইন এর কথা বলে সরকারি কলেজে এটা দেয়া হয়নাসহ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে আসছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। টিউশন ফি এর টাকা সম্পর্কে শিক্ষকরা কিছুই জানেননা বলে জানা গেছে। তিনি শিক্ষক মিলনায়তন বাদ দিয়ে নিজের অফিসে বসে যখন-তখন মিটিং করেন এবং ইচ্ছেমত শিক্ষকদের ডাকেন আর অপমান করেও বের করে দেন বলে তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ। কলেজ সরকারি হওয়ার পর ইএফটি এর মাধ্যমে বেতন চালু হওয়ায় বেতন ফরোয়ার্ড করার পাসওয়ার্ড তার কাছে থাকায় তিনি ইচ্ছেমত এক এক শিক্ষকের বেতন এক এক তারিখ ফরোয়ার্ড করে আসছিলেন। বাংলা বিষয়ের প্রভাষক মোহাঃ জোনাব আলীকে তার অফিস কক্ষ থেকে অপমান করে বের করে দেন। শুধু তাই নয়, কলেজের সকল শিক্ষককে ছুটি দিয়ে গত ১৭ অক্টোবর ২৩ মঙ্গলবার শুধু তাকে কলেজে রেখে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন, যে কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত ১৯/১০/২০২৩ বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষ মহোদয় তার অফিস কক্ষে সমস্ত শিক্ষককে ডেকে বিভিন্ন অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে নিয়ে আলাপ শুরু করার সময় প্রভাষক মোঃ শাহজালাল উদ্দীন অধ্যক্ষ কর্তৃক বিভিন্ন সময় কোন কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করার ব্যাপারে সচেতনতামূলক কথা বললে অধ্যক্ষ তার উপর মারমুখী হয়ে উঠেন এবং এক পর্যায়ে তাকে মেরে ফেলার ইঙ্গিত দিয়ে হুমকী দেন। উল্লেখ্য যে, এর আগে প্রভাষক মোঃ শাহজালাল উদ্দীনকে অধ্যক্ষ মহোদয় কয়েকবার বিভিন্ন কৌশলে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে এ শিক্ষক জানান। মনসুরা বেগম, সৈয়দা রেহানা আশরাফী, মোহাঃ জোনাব আলীর কয়েকবার কয়েক মাস এর বেতন ফরোয়ার্ডিং না করায় বন্ধ থাকে। বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয় এর নিকট আবেদনের ফলে বেতন চালু করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী কলেজের শিক্ষকরা বেতন বিল অনলাইনে আইবাস ফরমে সাবমিট করে থাকেন। কিন্তু তিনি গত মার্চ ২০২৩ থেকে আগস্ট পর্যন্ত বেতন বিল নিজের ইচ্ছেমত ফরওয়ার্ড করেন। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে কলেজের শিক্ষকদের পরিশ্রমের বেতন যা সবার পরিবারের রুজি যোগায়, তা বন্ধ করে অন্যায়ভাবে আর্থিক ও মানসিক কষ্ট দিয়েছেন। তিনি কলেজের ৪/৫ জন শিক্ষক এর বেতন বিল কয়েক মাসে বার বার বন্ধ করেন। শুধু তাই নয়, গত মার্চ ২০২৩ মাস থেকে কলেজ সরকারিকরণের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হলেও গত আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত প্রতি মাসের নির্দিষ্ট সময়ে কারো বেতনই তিনি পরবর্তী মাসের ১০/১৫ তারিখের আগে ফরওয়ার্ড করেননি। এমনকি বিভিন্ন অজুহাতে এক এক দিন এক এক জনের বিল ফরোয়ার্ড করেন (জেলা হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে স্টেটমেন্ট নিলেই তা প্রমাণিত হবে)। তাঁর এমন স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়টি নিয়ে কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা ও নানা গুঞ্জন চললেও অধ্যক্ষ মহোদয়ের হুমকী ও কূট কৌশলের ভয়ে কেউ বিষয়টি তুলতে সাহস পাননা বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান। তিনি সব সময় শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে গ্রæপিং-লবিং তৈরী করে অর্থ আদায় করা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। যারা তাকে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান, তাদের কোন কাগজ-পত্র তিনি স্বাক্ষর করেননা। কয়েকজন শিক্ষকের অবসরকালীন ভাতা উত্তোলনে তিনি কোন পদক্ষেপ না নিয়ে তাদের মানসিকভাবে অত্যাচার করছেন। চাকরী স্থায়ীকরণের ফাইল ও এসিআর এর ফাইল তিনি নিজের ইচ্ছেমত তৈরী করছেন এবং যারা তাকে চাঁদা দেননি তাদের কাজ এ পর্যন্ত করেননি। নৈমিত্তিক ছুটি নিয়ে তিনি বিভিন্ন অর্থ ও স্বার্থের সুযোগকে ব্যবহার করে স্বেচ্ছাচারিতা করে আসছেন। কাউকে একের পর এক ছুটি দিলেও কাউকে বছরে কয়েক দিনও ছুটি দেননা এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি কলেজে উপস্থিত থাকলে কলেজের অফিস কক্ষেই কর্মচারীদের দিয়ে রান্না-বান্না করান যাতে কলেজের কাজে অনেক অসুবিধা হয় এবং বিষয়টি খুবই দৃষ্টিকটু দেখায়। এছাড়া এতে করে সরকারের অর্থ তসরূপ হয়। কারণ তিনি বাড়ি ভাড়া পেলেও বিদ্যুৎ কলেজ ফান্ড থেকেই দেয়া হয় বলে জানা গেছে। দু’জন বহিরাগত ব্যক্তি প্রতিদিন অধ্যক্ষের নির্দেশে কলেজে অবস্থান করেন এবং কলেজের কর্মচারীদের বাদ দিয়ে তাদের দিয়ে অবৈধভাবে অফিসের কাজ করানো হয় বলে কলেজের কর্মচারীরা অভিযোগ করেছেন। অধ্যক্ষের এমন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, অধ্যক্ষের অনেক ক্ষমতার কারণে কেউ কিছু বলতে পারেননা। কারণ অধ্যক্ষ প্রায়ই বলেন, ‘আমি যা ইচ্ছা তা-ই করবো, আপনারা আমার ব্যাপারে মামলা দায়ের করেন। আজ পর্যন্ত কোন প্রশাসনের ক্ষমতা হয়নি আমার বিরুদ্ধে চার্চশীট দাখিল করার। ১৭ জন সচিবসহ বাংলাদেশের সমস্ত প্রশাসন আমার হাতের মুঠোই।’