নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৭ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তারা সবাই হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে আবার জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আসামিদের আইনজীবী সাব্বির হোসেন। তিনি বলেন, ‘আদালত তাদের সবাইকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আমরা পরবর্তীকালে আবার জামিন চাইব।’ কারাগারে পাঠানো বিএনপির নেতা-কর্মীরা হলেন, রাণীনগর উপজেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আতিকুজ্জামান, মোশাররফ হোসেন ও ফরহাদ আলী মণ্ডল, উপজেলা বিএনপির সদস্য নয়ন খান, উপজেলা যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাক্কির হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মাহবুব হাছান ও বড়গাছা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক একলাস আলী মণ্ডল। আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাণীনগর উপজেলার ঝিনা এলাকায় দলীয় সভা শেষে যুবলীগের ১০-১৫ কর্মী মোটরসাইকেল করে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে ঝিনা-রাণীনগর সড়কের দিঘীরপাড় ছোট ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে তাদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই জয়নাল সরদার নামে এক যুবলীগ কর্মী বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন। এ মামলায় ওই ৮ নেতাকর্মী ৬ সপ্তাহ আগে হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পান। জামিনের মেয়াদ শেষে আজ নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে মামলার এজহার ভুক্ত বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৭ নেতাকর্মী পুনরায় জামিনের আবেদন করেন। আসামীদের জামিনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাব্বির হোসেন। আর জামিনের বিরোধিতা করে শুনানি করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি আব্দুল খালেক। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে ওই সাত নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদ।