মুন্সীগঞ্জে গ্যাসের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ, সংঘর্ষে ৮ পুলিশ সহ আহত-২৬।

প্রকাশিতঃ মার্চ ৬, ২০২৪ | ১২:২৭ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গ্যাস সরবরাহের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধসহ বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা।এ সময় সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা মহাসড়ক থেকে বিক্ষোভ কারীদের সরে যেতে বললে বিক্ষোভ কারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে মুন্সীগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, গজারিয়া থানার ওসিসহ পুলিশের ৮ সদস্য আহত হয়। এ সময় পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ১৮ জন আন্দোলনকারী আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।গত কাল মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকালে উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের দড়ি বাউশিয়া বাস স্ট্যান্ড নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন মুন্সীগঞ্জ সদর-গজারিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান,গজারিয়া থানার ওসি রাজিব খান, এসআই আনোয়ার হোসেন, এসআই কামরুল ,এএসআই মাসুম মিয়া, কনস্টেবল রাধা রমন, কনস্টেবল কাঞ্চন, কনস্টেবল মোহাম্মদ আলী শয়ন। অন্যদিকে আন্দোলনকারী আহত ১৮জনের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে ৭ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, রোকেয় বেগম (৩৫),মালেকা বানু(৭০), বানু(৫৫), পারভিন(৪৭), ইসরাক হোসেন (২২), আকাশ(২৪), রিয়াদ হোসেন (২৮)।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কোন রকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়া গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। গ্যাস সরবরাহ দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে দরি বাউশিয়া বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বাউশিয়া ইউনিয়নের পুরান বাউশিয়া, পোড়াচক বাউশিয়া সহ ৭থেকে ৮টি গ্রাম থেকে আগত কয়েক হাজার নারী পুরুষ মহাসড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আন্দোলন কারীদের সাথে কয়েক দফা বৈঠক করা হলেও বিষয়টির সমাধান না হওয়ায় দুপুর তিনটার দিকে পুনরায় মহাসড়কের টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে আন্দোলনকারীরা। এ সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে পুলিশের উপর হামলা চালায় তারা। এ সময় আহত হয় আট পুলিশ সদস্য। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতাধিক রাউন্ড শটগানের গুলি বর্ষণ ও কয়েকটি টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পুলিশ এতে আহত হয় অন্তত ১৮জন আন্দোলনকারী।সংঘর্ষে আহতদের স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।বিষয়টি সম্পর্কে মুন্সীগঞ্জ সদর-গজারিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, ‘সকাল থেকেই আমরা তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। বেশ কয়েকবার মহাসড়ক থেকে নামিয়ে দেওয়ার পরও তারা বারবার মহাসড়কে উঠে আসছিল। দুপুর তিনটার পর তারা আরো উত্তেজিত হয়ে ওঠে। দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে।পুলিশ তাদেরকে মহাসড়ক থেকে নামিয়ে দিতে চাইলে তারা পুলিশের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমি ও গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রাজিব খান-সহ আট পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা কয়েকটি টিয়ারশেল এবং শতাধিক রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়ি।