তুরস্কে ভূমিকম্পের ৪৫ ঘণ্টা পর মোহাম্মেদ নামে একটি ছোট শিশুটিকে দেখা গেছে ধ্বংসস্তূপের ভেতরে আটকা পড়া অবস্থায়। তার শুধু মুখটা বেরিয়ে রয়েছে। এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে বেশ কয়েক ঘণ্টা, তবু টিকে আছে জীবনের আশা। মরদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি হঠাৎ করে বের হয়ে আসছে দু একজন জীবিত মানুষও। এ অন্যরকম এক মুহূর্ত। তুরস্ক ও সিরিয়ায় আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর এই দৃশ্য এখন চেনা। তবে এমন সব মুহূর্তের মধ্যে তুরস্কে ভবনের নিচে আটকা পড়া একটি শিশুর এক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে এবার। ৩৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে মোহাম্মেদ নামের শিশুটিকে দেখা গেছে ধ্বংসস্তূপের ভেতরে আটকা পড়া অবস্থায়। তার শুধু মুখটা বেরিয়ে রয়েছে। ভূমিকম্পের প্রায় ৪৫ ঘণ্টা পর ছোট্ট এই শিশুর সন্ধান পান উদ্ধারকারীরা। শিশুটিকে জীবিত শনাক্তের পর বেশ উৎফুল্ল হয়ে পড়েন তারা। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি পানির বোতলের মুখ খুলে তা দিয়ে কয়েক ফোঁটা পানি তার মুখে এগিয়ে দিলেন কেউ। তৃষ্ণা নিয়ে এই পানি পান করছে শিশুটি। ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলু টুইটারে ওই ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, শুভ কামনা মোহাম্মদ। স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে, যার উৎপত্তিস্থল কাহরামানমারাস প্রদেশের পাজারসিক জেলায়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) সংস্থার তথ্যমতে, প্রথমে আঘাত হানার পর অন্তত ১০০ বার কেঁপে ওঠে (আফটার শক) এ দুই দেশ। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল সোমবার দুপুর দেড়াটার দিকে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পটি। এর উৎপত্তিস্থল ছিল তুর্কির কাহরামানমারাস শহর। ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত দু দেশে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। ধসে পড়েছে হাজারো বাড়ি, হাসপাতাল, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থাপনা। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন, গৃহহীন হয়ে পড়েছেন অনেকে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, বাজে আবহাওয়া, প্রয়োজনীয় রসদ ও ভারী যন্ত্রপাতির অভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় প্রবেশে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। কিছু কিছু এলাকা জ্বালানি ও বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।