এডিসের প্রকোপ কমাতে ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

প্রকাশিতঃ মার্চ ৬, ২০২৪ | ৯:০০ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সামনে এডিস মশার প্রকোপ বাড়বে। ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার প্রকোপ যাতে না বাড়ে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চতুর্থ ও শেষ দিনের জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধিবেশনে ডিসিদের এ নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এডিস মশার প্রকোপ বাড়ার শঙ্কা জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এর আগে কিন্তু আরবান এরিয়াতে এডিস মশার আধিক্য লক্ষ্য করা গেছে। কারণ গ্রামেও এখন নতুন ভবন, অনেক বাড়ি ঘর হয়েছে। জমা পানি জমে থাকার সুযোগ আছে। সেজন্য গ্রামাঞ্চলেও কিন্তু এডিস মশার প্রজনন হতে পারে। ঢাকা শহরের অবস্থা তুলে ধরে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আগে যদি আমরা ঢাকার বাইরে এক পার্সেন্ট এডিস মশার প্রকোপ দেখতাম, বাকি ৯৯ শতাংশই কিন্তু দেখা যেত ঢাকা শহরে। গত বছর এডিস মশার প্রকোপ ঢাকায় কমে নেমেছে ২০ শতাংশের নিচে; কিন্তু ঢাকার বাইরে হয়েছে ৮০ শতাংশ। ডিসিদের কী নির্দেশনা দিয়েছেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা এ অবস্থাটা জানিয়েছি। তাদের বলা হয়েছে এ ব্যাপারে এখনই ইনিশিয়েটিভ নেওয়ার জন্য। তারা জনসচেতনতার জন্য লিফলেট বিতরণ করছেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, তাছাড়া মন্ত্রণালয় থেকে যেসব সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন টেলিভিশনে প্রচার করা হচ্ছে তাতেও গ্রামাঞ্চলের মানুষও সচেতন হচ্ছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি সঠিকভাবে দেখভাল করা হচ্ছে কিনা- সে ব্যাপারে নিয়মিত ডিসিদের মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন তো হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন যেসব সহযোগিতা চায় তা করব। তবে নির্বাচন সম্পর্কে আমাদের কোনো ইন্টারভেনশন বা ইন্টারফেয়ার নেই। ডিসি সম্মেলনে ২৫৬টা প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। যার মধ্যে ২২টি রাস্তাঘাট সংস্কারের। পৌরসভা ও উপজেলার যেসব রাস্তা সংস্কার করার বিষয় রয়েছে, ডিসিরা এসব বিষয়ে কোনো সুপারিশ করেছেন কিনা বা আলোচনা হয়েছে কিনা- জবাবে মন্ত্রী বলেন, এসব তো আলোচনায় অনুপস্থিত থাকার কথা নয়। জাতীয়ভাবে একটা লক্ষ্যমাত্র স্থির করা আছে। আমরা বাংলাদেশকে উন্নত বাংলাদেশ বানাব। উন্নত বাংলাদেশ বানাতে হলে তো আমাদের উন্নত রাস্তাঘাট বা যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। স্থানীয় জলাশয় ও পানি সংরক্ষণ করার বিষয়ে ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কিনা? কারণ গত বছর এ আবহাওয়ায় পানি সংকট তৈরি হয়েছিল। তখন প্রধানমন্ত্রী জলাশয়গুলো সংরক্ষণে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আজকেও এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি নিজে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি। পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। পানির ব্যবহারে আমাদের সঠিক বাস্তবমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আমাদের যেসব পানির জলাশয় আছে, তা সংরক্ষণ করতে হবে। নদী-নালা খাল-বিল যাতে ভরাট না হয় সেজন্যও উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে।