ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চারজনই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। আরেকজন জাতীয় পার্টির। এই সিটিতে আজ ভোটগ্রহণ। ভোটের আগে মুখোমুখি হন মেয়র প্রার্থীরা। জানান, নগর নিয়ে তাদের স্বপ্ন ও পরিকল্পনার কাথা। সবাই আধুনিক ও নিরাপদ নগর গড়ার অঙ্গীকার করেছেন। নির্বাচনে টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে লড়ছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হক টিটু। তিনি এ সিটির প্রথম মেয়রও। তিনি বলেন, ‘বিগত ৫ বছর জনগণের কল্যাণে কাজ করেছি। ময়মনসিংহ নগরী সুসজ্জিত করেছি। এই শহর জনগণের স্বপ্নের নগরীতে পরিণত হবে। সে লক্ষ্যে এবারও জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবে। জনগণ যে রায় দেবে, তা আমি মাথা পেতে নেব।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত হলে নগরীর অসমাপ্ত কাজগুলো দ্রুত শেষ করব। তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করব। পাশাপাশি যানজট, জলাবদ্ধতাসহ নগরবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যা নিরসনে কাজ করব। নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির ওপর জোর দেব।’ নির্বাচনে আলোচনায় আছেন মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল হক খান (সাদেক খান মিল্কী টজু)। হাতি প্রতীক নিয়ে লড়ছেন তিনি। সাদেকুল হক খান বলেন, ‘জনগণের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। নগরবাসী এবার পরিবর্তন চান। তারা এবার হাতি মার্কায় ভোট দিয়ে তাদের রায় জানাবেন। বিগত সময়ে তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। আশা করি ময়মনসিংহবাসী এবার আমাকে বিজয়ী করবেন। শুধু নগর পিতা হিসাবে নয়, তাদের সেবক হিসাবে কাজ করতে চাই। দলমত নির্বশেষে সবাইকে নিয়ে সিটির উন্নয়ন করতে চাই।’ ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে লড়ছেন আরেক প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম। তিনিও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। এহতেশামুল আলম বলেন, ‘জনগণের সাড়া পেয়েই নির্বাচন করছি। তারা নগরভবনে আমাকে চান। বিজয়ী হলে সিটি করপোরেশন এলাকার রাস্তাঘাট উন্নয়ন ও জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করব। নগরবাসীকে নিরাপদ একটি শহর উপহার দেব।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৫ বছর টিটু মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। নগরবাসী সুফল পাননি। অনিয়ন্ত্রিতভাবে অটোরিকশার লাইসেন্স দেওয়ায় ময়মনসিংহ এখন যানজটে নগরবাসী। রাস্তা ও ড্রেনেজ সিস্টেমে কাজ করছে তার লোকজন। উচ্চ হোল্ডিং ট্যাক্স ও যত্রতত্র বহুতল ভবনের অনুমোদন নিয়েও নানা বিতর্ক রয়েছে। জয়ী হলে আমি দুর্নীতিমুক্ত সিটি করপোরেশন গড়ব।’ নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় পার্টির শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। আমার প্রচারে সরকারদলীয় প্রার্থীদের লোকজন বাধা দিয়েছে। আমার কর্মীদের ওপর একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যেও জনগণ লাঙ্গলের পক্ষে আছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে লাঙ্গল বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। জয়ী হলে আমি নগরবাসীকে নিয়ে সিটির উন্নয়নে কাজ করব।’ এছাড়াও হরিণ প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে লড়ছেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা রেজাউল হক। তিনিও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। জয়ী হলে আধুনিক ও নিরাপদ শহর উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।