জলদস্যুর কবলে বিপ্লবের সঙ্গে সবশেষ যে কথা হয় পরিবারের

প্রকাশিতঃ মার্চ ১৫, ২০২৪ | ৯:২২ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

সোমালিয়ান জলদস্যুর কবলে বাংলাদেশি জাহাজ। সেখানে আটকা আছেন ২৩ জন নাবিক। তারা কেমন আছেন কী খাচ্ছেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় জিম্মিদের পরিবার। একইভাবে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন দাগনভূঞার জিম্মি ইব্রাহিম খলিল উল্যাহ বিপ্লবের স্বজনরা। শুধুমাত্র পানি খেয়ে রোজা রাখছেন স্ত্রী উম্মে সালমা, বাবা আবুল হোসেন ও মা রৌশনআরা। স্ত্রী উম্মে সালমা জানান, জলদস্যুরা তার মোবাইল ফোন নিয়ে নিয়েছে। তবে ব্যাগে একটি পুরনো মোবাইল ছিল। সেটি দিয়েই ফোন করেছেন। বুধবার সকালে বিপ্লবের সঙ্গে কথা হয় স্ত্রী উম্মে সালমার। হঠাৎ স্বামীর ফোন পেয়ে খানিকক্ষণের জন্য হলেও ফেলেন স্বস্তির নিঃশ্বাস। তবে খুব বেশিক্ষণ কথা বলার সুযোগ হয়নি। স্বস্তি দ্রুতই পরিণত হয় শঙ্কায়। কথা বলা পর্যন্ত তারা নিরাপদে ছিলেন বলে জানান। বিপ্লব ফোনে জানান, জলদস্যুরা তাদের সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তবে খারাপ ব্যবহার করছে না। এমন কথা বলতে বলতেই জিজ্ঞেস করেন দুই ছেলে রেদওয়ান ও রিহানের কথা। জানতে চান- কেমন আছে তারা। এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিপ্লব। দুই ছেলেসন্তান ভালো আছে জানানোর পর তাদের ভালো মতো দেখে রাখার কথাও বলেন বিপ্লব। দোয়া চান নিজের জন্য। পরিবারের সবাইকেও তার কথা জানাতে বলেন। সালমা আরও জানান, একপর্যায়ে জলদস্যুরা বুঝতে পারে, বিপ্লব ফোনে কথা বলছেন। তখন সেই ফোনটিও কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। বিপ্লবের বাড়ি উপজেলার মোমারিজপুর গ্রামে। ফেনী শহরের নাজির রোডে ভাড়া বাসায় থাকে তার পরিবার। ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করেছেন বিপ্লব।