জবি ছাত্রীর মৃত্যুতে তদন্ত কমিটি গঠন, শিক্ষক বরখাস্ত ছাত্রকে বহিষ্কার

প্রকাশিতঃ মার্চ ১৬, ২০২৪ | ৫:১০ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রশাসন। আইন অনুষদের ডীন অধ্যাপক মাসুম বিল্লাহকে আহবায়ক এবং ডেপুটি রেজিষ্ট্রার হিমাদ্রি শেখরকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এছাড়া এ ঘটনায় উপাচার্য সাদেকা হালিম অভিযুক্ত শিক্ষক দ্বীন ইসলামকে প্রশাসনিক ও একাডেমিক দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত এবং শিক্ষার্থী আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ৭ দিনের মধ্যে ঘটনায় জড়িতদের তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। শনিবার রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন। তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবুল হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন এবং সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ঝু্মুর আহমদ। এর আগে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা সদরের নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকা। পরে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আত্মহত্যার পূর্বে ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য সহকারী প্রক্টর ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক নামে একজনকে দায়ী করেন। স্ট্যাটাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাদেকা হালিমের কাছে এই ঘটনার বিচার চেয়েছেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনা শুনে ক্যাম্পাসে তার সহপাঠীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। শুক্রবার রাত ১২টার পর ফাইরুজ অবন্তিকার শুভাকাঙ্ক্ষী ও সহপাঠীরা ‘আমার বোন মরল কেন বিচার চাই বিচার চাই’ এমন স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে প্রক্টরকে ঘেরাও করে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি রাতের মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে। অভিযুক্তদের আটক না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।