এক শিক্ষার্থীকে নিকাব খুলতে বাধ্য করাসহ ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাবের অভিযোগে মানিকগঞ্জে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের এক সহকারী অধ্যাপককে অ্যাকাডেমিক্যাল কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ করা হয় তিনি ক্লাসে শিক্ষার্থীদের দাড়ি, টুপি-পাঞ্জাবি, বোরকা, হিজাব নিয়ে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন। যুগান্তরে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ জরুরি বৈঠক ডেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়। কলেজটির অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন এ তথ্য জানান। এর আগে এ ঘটনায় কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কলেজের অধ্যক্ষের কাছে ধর্ম অবমাননার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ১৪ মার্চ লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গাইনি অ্যান্ড অবস্ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. প্রতিমা রানী বিশ্বাস ১৩ মার্চ গাইনি ওয়ার্ডে ক্লাস নেওয়ার সময় তিনি রাসূল (সা.)-কে নিয়ে বিদ্বেষমূলক কথা বলেছেন। ইসলামে চার বিয়ে নিয়েও কটূক্তি করেছেন। কলেজের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের শিক্ষক হিসাবে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের ধর্ম ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের সম্মানে আঘাত হানে এমন কার্যকলাপ ও উক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইন্টার্ন বলেন, গাইনি বিভাগের ওই শিক্ষক সংবিধানেরও অবমাননা করেছেন। সংবিধানের ১২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সব নাগরিকের ধর্মীয় অধিকার এবং প্রত্যেকের পোশাকের স্বাধীনতা রয়েছে। তিনিসহ সংক্ষুব্ধরা তার অপসারণ ও নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি করেন। লিখিত অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন শনিবার যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জেনেছি। ওই শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলেছি। সিনিয়র শিক্ষকদের নিয়ে এ ব্যাপারে সভা করে ব্যবস্থা নেব।’ অধ্যক্ষ আরও বলেন-এ ধরনের বক্তব্যের জন্য ওই শিক্ষিকা তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’ অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডা. প্রতিমা রানী বিশ্বাস যুগান্তরকে বলেন, কলেজের অধ্যক্ষের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছি। তবে নিজের ব্যাপারে আনা অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।