রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার চরে পাইকারি প্রতি কেজি বেগুন ৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা হিসেবে এই বেগুন ১০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। রোববার বাঘা হাটে এ দামে বেগুন বিক্রি হয়। মাসখানেক আগেও এ বেগুন ৬০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হয়েছে। জানা যায়, বাঘা উপজেলার পদ্মার চরসহ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বেগুন চাষ হয়েছে। এ বেগুন স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে উৎপাদন বেশি হওয়ায় এবং পাইকারি ক্রেতা না থাকায় বেগুনের দাম কমে গেছে। প্রতি কেজি ৫ টাকা দরে বেগুন কিনে ঢাকায় নিয়ে লাভ হচ্ছে না বলে জানান পাইকারি বেগুন ব্যবসায়ী আলান উদ্দিন। তিনি বলেন, শ্রমিক, খাজনা, ও গাড়িভাড়া দিয়ে বেগুনে লাভ হচ্ছে না। গত সপ্তাহে ৭০ মণ বেগুন ঢাকায় নিয়ে দুই হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। এ বিষয়ে পদ্মার চরের বেগুন চাষি আরিফুল ইসলাম শেখ বলেন, বড় আসা নিয়ে এক বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছি। প্রথমের দিকে ভালো দাম পেলেও বর্তমানে একদমই দাম নেই। এরপর আবার ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। দাম যেটাই আছে, ক্রেতা থাকলে চাহিদা থাকে। ক্রেতা না থাকায় বর্তমানে চাহিদা কমে গেছে। গত সপ্তাহে আমি ২০ মণ ২০০ টাকা হিসেবে বেগুন বিক্রি করেছি। বাঘা পৌর বাজারের খুচরা সবজি ব্যবসায়ী আবদুল কুদ্দুস বলেন, আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমে গেছে। তবে প্রকারভেদে তাল বেগুন ২০-৩০ টাকা রয়েছে। বিচি ছোট বেগুন পাইকারি হিসেবে প্রতি কেজি ৫ টাকা হিসেবে ক্রয় করেছি। এতে খাজনা, লেবার, ভ্যান ভাড়া দিয়ে এনে বর্তমানে ১০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করছি। বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, পদ্মার চরসহ উপজেলায় ১৯৯ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাষ হওয়ায় দাম কিছুটা কমে গেছে। এরপরও এ দামে বেগুন বিক্রি করলেও চাষিদের লোকসান হবে না।