‘ফ্লাইওভার, হাইওয়ে আর পদ্মা সেতু খেয়ে কি জীবন রক্ষা পাবে’

প্রকাশিতঃ মার্চ ২২, ২০২৪ | ৯:৩৩ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, চারদিকে যুদ্ধের দামামা বাজছে, সবকিছুর মূল্য ৫ থেকে ৭ গুণ বেশি, বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্যের সংকট দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী দিনগুলোতে আরও প্রকট আকার ধারণ করার সম্ভাবনা খুবই বেশি। নতুন প্রজন্মকে আমরা কী ধরনের বাংলাদেশ দিয়ে যাচ্ছি। ফ্লাইওভার, হাইওয়ে আর পদ্মা সেতু খেয়ে কি জীবন রক্ষা পাবে। তিনি আজ শুক্রবার (২২ মার্চ) রাজধানীর মগবাজারে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির অঙ্গ সংগঠন গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক দলের ইফতার মাহফিলে এ কথা বলেন। কর্নেল অলি বলেন, পৃথিবীর সর্বমোট ১৪৩টি দেশে জরিপ করা হয়েছে, তাও আবার জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে। তারা সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করেছেন। এতে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯তম; যা গত বছর ছিল ১১৮তম। এতেই বোঝা যায় বর্তমান সরকার পর্যায়ক্রমে আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। অলি বলেন, বিগত কয়েক বছর যাবৎ দেশে অপরাজনীতি, জালভোট কালচার, জবাবদিহিতা এবং একদলীয় পদ্ধতির শাসন প্রতিষ্ঠার কারণে দেশের ও জনগণের সমস্যা সমাধান বা দেখার কেউ নেই। সরকার ব্যস্ত শুধু ক্ষমতা ধরে রাখতে। ফলে দেশ ক্রমশ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। কর্নেল অলি বলেন, বর্তমানে দেশের বাস্তব অবস্থা কী? শেয়ার মার্কেটের টাকা লুটপাট, ঋণ নিয়ে দেশের বাহিরে টাকা পাচার, সরকারি প্রকল্পের টাকা লুটপাট, ঘুস গ্রহণ। এমপি পদ পাওয়ার জন্য এবং নির্বাচিত হওয়ার জন্য ঘুস দিতে হয়। চেয়ারম্যান-মেম্বার হওয়ার জন্য দলীয় গুন্ডাদের টাকা দিতে হয়, বিচার পাওয়ার জন্য টাকা দিতে হয়। অলি বলেন, দ্রব্যমূল্য সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে, কেন জনগণের ক্রয়ক্ষমতা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। আমদানি-রপ্তানি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। নতুন বিনিয়োগ নাই, দেশীয় মুদ্রা ও ডলার সংকট প্রকট। সর্বোপরি সরকারের ওপর জনগণের আস্থা নাই। অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেন, আশা করি- শেখ হাসিনা এই সত্যগুলো অনুধাবন করে অনতিবিলম্বে নতুনভাবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য পন্থায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণ করে জাতিকে সঠিক পথে চলার পথ সুগম করবেন। গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক দলের সদস্য সচিব কাশেম সিকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামূল বশির, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, অ্যাডভোকেট এসএম মোরশেদ, অধ্যক্ষ স্যাকলায়েন, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন, যুগ্মমহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম, প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মফিজুল ইসলাম নিলু, ঢাকা উত্তর এলডিপির সাধারণ সম্পাদক অবাক হোসেন রনি, দক্ষিণের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি আমান সোবহান, গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি খালিদ বিন জসিম, গণতান্ত্রিক কৃষক দলের সভাপতি এবিএম সেলিম, গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক দলের যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ, গণতান্ত্রিক শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মাদ্রাজী, গণতান্ত্রিক আইনজীবী ফোরামের সভাপতি নূরে আলম, গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাজী কামরুল হাসানসহ প্রমুখ অংশ নেন।