নোয়াখালীর ৫টি ইউনিয়নে বিএনপি ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশী বাধা ও হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে অঙ্গ সংগঠনের অন্তত ২০ নেতাকর্মি আহত হয়েছেন। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে জেলার চাটখিল উপজেলার সাহাপুর, হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ, পরকোর্ট ইউনিয়নে ও কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ এবং সোনাইমুড়ীর সোনাপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক চাটখিল পৌরসভার সাবেক মেয়র মোস্তফা কামাল (৬০) সাহাপুর ইউনিয়নে বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন বাবুল (৬০) জামাল হোসেন (৫০) যুবদল নেতা রুবেল হোসেন (২৮) বিএনপি নেতা হারুন মোল্লা (৬৫) বিএনপি নেতা সাইদুল হাসান (৩৫) ছাত্রদল নেতা সাব্বির হোসেন, ছাত্রদল নেতা একরাম সহ অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। চাটখিল উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো.শাহাজান রানা অভিযোগ করে বলেন, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি উপলক্ষে বিভিন্ন ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা শুরু হয়। সকাল ১০টার দিকে চাটখিল উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের সাহাপুর বাজারে, হাটকুপুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের বিনাতলা এলাকায় ও পরকোর্ট ইউনিয়নের দশঘরিয়া বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিরা হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১৫ জন নেতাকর্মি আহত হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপি শান্তিপূর্ণ ভাবে কর্মসূচি পালন করে। সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মো. সেলিম শাহী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে সোনাপুর ইউনিয়নের খেলাফত বাজারে পদযাত্রার কর্মসূচি শুরু করলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মিরা ককটেল নিক্ষেপ করে। এ সময় তাদের হামলায় সাহাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ফিরোজ সহ তিনজন আহত হয়। পরে ক্ষমতাসীন দলের কয়েজন নেতা যুবদল নেতা ফিরোজের বাবার দোকানে হামলা ও লুটপাট চালায়। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মফিজুর রহমান বলেন, সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের কানকির হাট বাজারে বেলা ১১টার দিকে সরকার দলের লেলিয়ে দাওয়া সন্ত্রাসীরা আমাদের কর্মসূচিতে বাধা দেয়। পরে পুলিশ এসে তাদের সাথে নিয়ে আমাদের কর্মসূচি পন্ড করার চেষ্টা চালায়। নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য ও কবিরহাট পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর একরাম উদ্দিন বলেন, কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নে মজিদেরহাট বাজারে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালানো হয়। এতে তাদের চারজন নেতাকর্মি আহত হয়। অভিযোগের জবাবে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উল্যাহ খান সোহেল বলেন, বিএনপির কর্মসূচিতে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারা উস্কানিমূলক কার্যক্রম করতে চাইলে সেখানে উত্তেজনাকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এরপর তিনি মুঠোফোনে ম্যাসেজ দিতে বললে, তার হোয়াটস অ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোনো মন্তব্য করননি।