ভোটডাকাত সরকারকে সমর্থনকারী দেশের পণ্যবর্জন ন্যায়সঙ্গত: রিজভী

প্রকাশিতঃ মার্চ ২৯, ২০২৪ | ৪:৫২ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

দেশ ভোটডাকাত দখলদার সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে সেই দেশের পণ্যবর্জন করা ন্যায়সঙ্গত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার পরিবারের মাঝে ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে রিজভী এসব কথা বলেন। এর আগে গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার পরিবারের সদস্যরা তাদের কথা তুলে ধরেন। এ সময় রিজভী আরও বলেন, ২০১৪ সালে পার্শ্ববর্তী দেশের কূটনীতিক এসে ভোটারবিহীন সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে গেল, ২০১৮ সালে রাতে ভোট হলো সেই নির্বাচনকেও তারা স্বীকৃতি দিল। এবার ২০২৪ সালে এত বড় একটা ডামি নির্বাচন হয়ে গেল তারপরও প্রকাশ্যে তারা বলছেন আমরা এই সরকারের পাশে আছি। অথচ ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, তারা বলছেন আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে, আমরা কোনো দলের পক্ষে নয়। যারা একটি ভোট ডাকাত সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে সেই দেশের পণ্যবর্জন করা ন্যায়সঙ্গত। তাদের বিরুদ্ধে যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে, আমরা সেই আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করি। বিএনপি নেতারা শাল পোড়ায় কিন্তু বউদের শাড়ি পোড়ায় না- বুধবার দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, ‘আমাদের বিএনপি নেতারা ভারত থেকে শাড়িতে মন কিনে না। আমার নানার বাড়ি ভারত। বিয়ের পর একবার গিয়েছিলাম। আমার ছোট মামা সেখানে থাকেন। আসার সময় আমার মিসেসকে একটি শাড়ি দিয়েছিল। আমি কয়েকদিন আগে আমার মিসেসকে জিজ্ঞেস করলাম ওই শাড়িটা কই? আমার মিসেস বলল ওটা দিয়ে তো অনেক আগেই কাঁথা সেলাই করা হয়েছে। আমাদের দেশে একটা রেওয়াজ আছে পুরাতন শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করা।’ প্রধানমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘শেখ হাসিনা আপনি দেশের স্বার্থ নিয়ে তামাশা করেন। আপনি বলেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করল কে? যুদ্ধ করেছে এদেশের কৃষক শ্রমিক, ছাত্র, যুবকরা, নজরুল ইসলাম খান, সাদেক হোসেন খোকা প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা তারা কি আওয়ামী লীগ করতেন? বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সরকারের গুমের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, তরুণদের-যুবকদেরকে গুম করার উদ্দেশ্যই হলো এই সরকার দখলদার সরকার, নতজানু সরকার। কেউ মারা গেলে তার আত্মার মাগফেরাত করার মধ্যেও একটা শান্তি আছে। গুম হওয়া একটি পরিবার তার আত্মার মাগফিরাতও কামনা করতে পারে না। তার কবরে গিয়ে মোনাজাতও করতে পারে না, এই ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে সরকার। ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মনের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, যুবদলের সাহিত্য প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত প্রমুখ।