ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া নিলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি আইজিপির

প্রকাশিতঃ মার্চ ২৯, ২০২৪ | ১০:৪৯ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে কেউ বাস, লঞ্চ কিংবা ট্রেনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এমনকি সড়কে চাঁদাবাজি হলে প্রয়োজনে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে সহযোগিতা চাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার দুপুরে রাজারবাগে পুলিশ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে পুলিশের বার্ষিক আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের আইজিপি এসব কথা বলেন। আইজিপি জানান, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি রুখতে সব বাহিনীর সমন্বয়ে কাজ করা হচ্ছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সেতু মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় সভা শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লম্বা ছুটি থাকায় বাড়তি ভিড়কে মাথায় রেখে পর্যটন এলাকাগুলোতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা না করার অনুরোধও জানান আইজিপি। তিনি আরও জানান, এবারের ঈদে ফাঁকা ঢাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার গুরুদায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের মাঝে জ্ঞান ও ধর্মীয় চর্চার অনুশীলনের অংশ হিসেবে প্রতি বছরের মতো এবারো আজান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় সব পুলিশ ইউনিট থেকে পুলিশ সদস্যরা অংশগ্রহণ করেছেন। আইজিপি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি আজান ও কেরাতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেন। এ ছাড়া বিজয়ীদের মেধার স্বীকৃতি হিসেবে তাদেরকে দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কুরআন তিলাওয়াত করানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে প্রতিযোগিতার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করায় বিচারকদেরকে ধন্যবাদ জানান। আইজিপি বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় অতিরিক্ত আইজিপি, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্যসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লি­ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিযোগিতায় আজানে প্রথম হয়েছেন ডিএমপির কনস্টেবল সাগর হোসেন সাব্বির, দ্বিতীয় এপিবিএন খুলনার নায়েক আবু মুসা এবং তৃতীয় হয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই (সশস্ত্র) মো. ওমর ফারুক। কেরাতে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন এপিবিএন খুলনার নায়েক আবু মুসা, দ্বিতীয় হয়েছেন আরআরএফ খুলনার কনস্টেবল মো. ইসমাইল হোসেন মুন্না এবং তৃতীয় হয়েছেন র‌্যাব সদর দপ্তরের কনস্টেবল বেলাল আহমদ। বৈশ্বিক শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় ইসলামের ভূমিকা শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন এসবির উচ্চমান সহকারী শেখ রেজাউল কবির, দ্বিতীয় পুলিশ সদর দপ্তরের এএসআই (নিরস্ত্র) শামীম আল মামুন এবং তৃতীয় হয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের নায়েক একেএম খালিদ সাইফুল্লাহ।