যশোর রেল গেট পশ্চিম পাড়ায় বাবাকে দেখতে এসে লাশ হয়ে হাসপাতাল মর্গে গেল ৯ বছরের শিশু কন্যা জোনাকি। তার মরদেহ ডোবা থেকে উদ্ধার হয়েছে। তবে, তার গলা, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এটি দুর্ঘটনা নয় দাবি স্থানীয়দের। অনেকের অভিযোগ সৎ মা নার্গিস বেগম মেয়েটিকে হত্যার পর ডোবায় ফেলে নিখোঁজ হয়েছে বলে প্রচার দেয়। আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে মেয়েটির ক্ষত বিখ্যাত মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সংস্থা প্রধান সন্দেহভাজন সৎ মা নার্গিস ও বাবা শাহীন তরফদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে। জানাযায়, বেনাপোলের পোড়াবাড়ীর শাহীন তরফদার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে নার্গিসকে বিয়ে করেন। তিনি বেনাপোল থেকে যশোর রেল গেটে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিলেন। অন্যদিকে, শিশু কন্যা জোনাকি থাকতো তার দাদা-দাদির কাছে। পাঁচ দিন আগে শিশু কন্যা জোনাকি বাবাকে দেখতে রেল গেটের ভাড়া বাড়িতে আসে। সোমবার তার সৎ মা প্রচার দেয় আমাদের জোনাকিকে পাওয়া যাচ্ছে না। এনিয়ে প্রতিবেশিদের মধ্যে নানা কানা-ঘুষা চলছিলো। শেষ পর্যন্ত আজ সকালে পাওয়া গেল তার লাশ। এ বিষয়ে পুলিশ প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে কাজ করছে। নিহতের ভাই তাওহিদ হোসেন চয়ন জানায়, আমরা তিন বোন আর এক ভাই। পাঁচ বছর আগে আমার মায়ের সাথে আমার বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। আমার মা এখন তুরস্ক আছে। বাবা সৎ মা নার্গিস বেগমকে নিয়ে রেলগেট পশ্চিমপাড়া মডেল মসজিদের পাশে ভাড়া বাসায় থাকে। গত পাঁচদিন আগে বোন জোনাকি বেনাপোল পোড়াবাড়ি থেকে বাবার বাসায় রেলগেটে আসে। সোমবার সকাল ১০টা থেকে থেকে বোনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। ফেসবুকে স্ট্যাটাস এবং কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। মঙ্গলবার বাবার বাসার পাশে পরিত্যক্ত পুকুর পাড় থেকে বোনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আমার সৎ মার সাথে আমাদের বনিবনা হচ্ছিলো না। আমার ধারণা আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। এবং ওই হত্যাকাণ্ডের সাথে আমার সৎ মা জড়িত। কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সোমবার থানায় একটা মিসিং জিডি হয়েছে। আজ মেয়েটির লাশ উদ্ধার হলো। কি কারনে কেনো মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, সবকিছু মাথায় নিয়ে পুলিশ বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে।