বান্দরবানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ফের তাণ্ডব চালাচ্ছে থানচি বাজারে, চলছে মুহুর্মুহু গোলাগুলি। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এ গোলাগুলির খবর পাওয়া যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মামুন। তিনি বলেন, বর্তমানে থানচি উপজেলার থানচি বাজারের থানার পাশে এবং হাসপাতালের পেছনে গোলাগুলি চলছে। কিছুক্ষণ পর পরই থেমে থেমে গোলাগুলি চলছে। ইউএনও মোহাম্মদ মামুন আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে যারা গতকাল (বুধবার) এসেছিল তারাই গোলাগুলি করছে। তবে কাদের সঙ্গে গোলাগুলি চলছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। এদিকে বান্দরবানের রুমা শাখার সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধারের কথা জানিয়েছে র্যাব। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, র্যাবের মধ্যস্থতায় তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে। অন্যদিকে রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংক লুট ও অপহরণের পর কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফের সঙ্গে সব ধরনের সংলাপ ও যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। সেই সঙ্গে এ ঘটনার জন্য নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কমিটির সদস্যরা। বৃহস্পতিবার সকালে বান্দরবান জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটির সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বৈঠকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কেএনএফ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে আলোচনা এবং তাদের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত ৯টায় রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংক লুট করার চেষ্টা করে এবং পরে লুট করতে না পেরে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। পরে বুধবার বিকাল ৩টার দিকে এই শাখার ভল্ট থেকে কক্সবাজার থেকে সিআইডি এসে অক্ষত অবস্থায় ১ কোটি ৫৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকা বের করে। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আবার থানচি উপজেলায় অবস্থিত সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে প্রবেশ করে কেএনএফ। এ সময় তারা (কেএনএফ) দুই ব্যাংকের ক্যাশ থেকে মোট ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।