মুন্সীগঞ্জে বাসের নেওয়া বাড়তি ভাড়া, ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান।

প্রকাশিতঃ এপ্রিল ১১, ২০২৪ | ১০:৫৬ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

ঈদ এলেই বাস কোম্পানীগুলোর একটি অংশ বাড়তি ভাড়া আদায়ে তৎপর হয়ে ওঠে। এই বাড়তি ভাড়া না দিলে মেলে না বাসের আসন। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় ঈদে নারীর টানে বাড়ি ফেরা মানুষের। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে মুঠোফোন যাত্রীর কাছ থেকে এমন অভিযোগ পান মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন। তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে সত্যতা পান সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোকসানা খাইরুন নেসা।জানাগেছে ,ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ রুটে চলাচলকারী গাঙচিল পরিবহনের একটি বাস যাত্রীদের কাছ থেকে বৃহস্পতিবার পূর্বের নির্ধারিত ১২০ টাকা ভাড়ার স্থলে ২০০ টাকা করে নিচ্ছিলেন। কেউ ২০০ টাকা দিয়ে টিকেট না কাটলে গাড়িতে উঠতে দিচ্ছিলেন না। বাসের এক যাত্রী বিষয়টি মুঠোফোনে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেনকে জানালে তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। বাসটি যখন ঢাকা হতে লৌহজং উপজেলার মালির অংক এলাকায় আসেন তখন সহকারী কমিশনার (ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোকসানা খাইরুন নেসা বাসটি থামান এবং যাত্রীদের সাথে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পান। তারপর আদায় করা অতিরিক্ত ভাড়া যাত্রীদের ফেরত দিতে বাধ্য করা হয়। অভিযানে লৌহজং থানা পুলিশের সদস্যরা সহযোগিতা করেন।অভিযোগকারী যাত্রী হাসিব বলেন, ঈদের দিনেও যাত্রীদের কাছ হতে অতিরিক্ত ৮০ টাকা করে নিচ্ছিল বাসটি। আমি মুঠোফোন মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন সাহেবকে জানাই। ভেবেছিলাম হয়তো ব্যবস্থা নিবেন কিন্তু এত দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন আমি কল্পনাও করিনি। প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোকসানা খাইরুন নেসা অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন স্যারের নির্দেশনায় অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। বাস চালক ঈদের বকশিশ হিসেবে ৮০ টাকা করে বেশি নিয়েছেন বলে স্বীকার করেন। তবে যাত্রীরা বকশিস দেননি জোর করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়েছে বলে জানান। তাই অতিরিক্ত ভাড়া ফেরত দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অতিরিক্ত ভাড়া যেনো আদায় না করা হয় সেজন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন বলেন, বাসের এক যাত্রীর কাছে হতে মুঠোফোনে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করি। জানতে পারি মোট ৩০ জন যাত্রীর কাছ হতে এই অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয়েছে। তবে যখন আমরা অভিযান পরিচালনা করি তখন বাসে ২০ জন যাত্রী ছিল আগে ১০ জন নেমে গেছে। পরে যাত্রীদের জরি বাড়তি ভাড়া ফেরত দিতে তাদের বাধ্য করি। ঈদের দিন দেখে মানবিক কারণে বাস কর্তৃপক্ষকে জরিমানা করা হয়নি। তবে তাদের বাড়তি ভাড়া আর না নেওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।তিনি আরো বলেন,ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আর যেন ভাড়া বেশি না নেওয়া হয় সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। যদি আমরা অভিযোগ পাই তাহলে আবার অভিযান পরিচালনা করব।