সিরিয়ার দামেস্কে নিজের কনস্যুলেটে হামলার জেরে ইসরাইলের মাটিতে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে ইরান। এই হামলায় তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। প্রতিশোধমূলক এই হামলায় প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সাফল্যের দাবি করেছে ইরান। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার দিবাগত গভীর রাতে ইরানের চালানো এ হামলা ৫ ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল। দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের লক্ষ্যবস্তুতে ইরানের হামলার কারণে নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছিল ইরাক ও জর্ডান। বন্ধের প্রায় ১২ ঘণ্টা পর আকাশসীমা খুলে দেয়ার কথা জানিয়েছে দেশ দুটি। এদিকে, ইরানের হামলার পর ইসরাইলি কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হতে এবং সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন। একইসঙ্গে ইসরাইল স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্যাম্প বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এক হাজার জনের বেশি জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত থাকবে এবং ইরানের হামলার কারণে মানুষের জমায়েত সীমিত রাখা হবে। ইসরাইলে হামলায় ইরানের ব্যবহৃত অস্ত্র নিয়ে এক বিশ্লেষণে আলজাজিরা জানিয়েছে, ইরান ইসরাইলে ড্রোন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রায় ১১০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছিল বহু স্তরবিশিষ্ট। যা এমনভাবে নকশা করা হয়েছে যে, এগুলো ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে পারে।