অপপ্রচার বন্ধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপপ্রচার নিয়ে ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করে। তারা কিভাবে কাজ করে, তাদের অভিজ্ঞতা এবং প্রক্রিয়া-পদ্ধতি বিনিময়সহ জানা-বোঝার চেষ্টা করব। এক্ষেত্রে যদি কোনো প্রশিক্ষনের প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা কোলাবোরেশনে যাব। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে কো-অপারেশনগুলো আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বিটিভিতে দুই ঘণ্টার একটি চাংক নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ, চলমান ঘটনাপ্রবাহ এবং সংবাদ উপস্থাপনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ভারতের যে সংবাদ সংস্থাগুলো আছে বিশেষ করে এএনআইয়ের (এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল) সঙ্গে একটা কোলাবরেশন করা যায় কিনা। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, যেহেতু বিটিভি ইন্ডিয়াতে দেখানো হয় সেহেতু ২ ঘন্টার এই চাংক আমরা আস্তে আস্তে দুই, তিন, চার ঘণ্টা অবধি বাড়াব। আমরা এটাকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করতে চাচ্ছি। যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের খবরাখবর থাকবে। এখানে আমরা চেষ্টা করব ভারতীয় দর্শকদের আকৃষ্ট করার। এছাড়া ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন নিয়ে যে ইনস্টিটিউট আছে তাদের সঙ্গে একটা কোলাবরেশন করা। বিভিন্ন ধরণের প্রোগ্রাম ও ট্রেনিং করা। আরাফাত বলেন, সম্প্রতি ‘মুজিব’ শিরোনামের সিনেমাটি সহ-প্রযোজনা হয়েছে, এমন অন্যকোনো সিনেমায় সহ-প্রযোজনার সুযোগ আছে কিনা সেটা খুঁজে দেখা হবে। ভারতের নির্বাচন ইস্যুতে কোনো আলাপ হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো আলোচনা হয়নি। বিশ্বের গণতন্ত্রের দেশে এত লম্বা সময় ধরে কেন নির্বাচন করা হয়, কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন করা হয় এসব নিয়ে বেসিক কিছু আলোচনা হয়েছে। ভারতের সিনেমা যেহেতু বাংলাদেশের বাজারে চলে, সেহেতু বাংলাদেশের ভালোমানের সিনেমাও ভারতে চালানো যায় কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দর্শককে জোর করে কিছু দেখানো যায় না। বাজারে কোনো জিনিসের চাহিদা থাকলে সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাবে-আসবে। ভালো সিনেমা নির্মিত হলে ভারতের দর্শকদের তা আকৃষ্ট করবে এবং চাহিদা তৈরি হলে তা ভারতে অবশ্যই যাবে।