টাঙ্গাইলের গোপালপুরে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ‘হিট স্ট্রোকে’ মৃত্যু হওয়ার ঘটনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। রোববার নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে উপজেলা পরিষদের সব পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। জানা গেছে, গোপালপুর উপজেলা পরিষদের বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম আখতার মুক্তা এবার প্রার্থী হয়েছেন। সম্প্রতি তিনি ময়মনসিংহে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানেই গত শুক্রবার অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং সাবেক এমপি হাতেম আলী তালুকদারের নাতনি ছিলেন। স্থগিতের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে- ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ১ম ধাপে ৮ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আগেই মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সব পদের নির্বাচন স্থগিত করে পুনঃতফসিল ঘোষণার মাধ্যমে ৪র্থ ধাপে ৫ জুন ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। তাছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইতোপূর্বে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন তাদের নতুন করে মনোনয়ন দাখিলের প্রয়োজন হবে না এবং পূর্বে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের প্রত্যাহারের সুযোগ দেওয়া যাবে। গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে পূর্বের মনোনয়ন বহাল থাকবে, উক্ত পদে বিদ্যমান প্রার্থীদের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ শুধুমাত্র মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুনভাবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচর্নে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রার্থী মারুফ হাসান জামী। উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৮ হাজার ৭১ ভোট। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৬ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ জন। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মরিয়ম আখতার মুক্তার স্বামী বলেন, প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে স্ত্রী ‘হিট স্ট্রোকে’ মারা গেছেন।