জেল থেকে বেরিয়ে মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, আল্লাহর এই জমিনে আল্লাহ ও রাসূলের একবিন্দু পরিমাণ অসম্মান বরদাশত করা হবে না। আমরা সর্বোচ্চ ত্যাগ ও কুরবানি করতে প্রস্তুত আছি। জীবন দিতে প্রস্তুত রয়েছি। এ জমিনে আল্লাহর ঝাণ্ডা সমুন্নত করেই আমাদের যাত্রা থামবে ইনশাআল্লাহ। হয়তো শাহাদত, নয়তো খেলাফত ইনশাআল্লাহ। শুক্রবার দুপুরে রাস্তায় হাজার হাজার ভক্তদের সামনে ছাদখোলা মাইক্রোবাসে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় এই যুগ্ম মহাসচিব। মামুনুল হক বলেন, ব্যক্তিগত আক্রোশের প্রতিশোধ আমরা কারও কাছ থেকে গ্রহণ করব না। আমরা এতে বিশ্বাসী নই। মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের বিভেদ সৃষ্টিতে মামুনুল হক বিশ্বাস করে না। বক্তব্য শেষে দোয়া পরিচালনা করেন মামুনুল হক। তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম, খিলাফতে মজলিসসহ সব ভাতৃপ্রতিম সংগঠন ও সব আলেম-ধর্মপ্রাণ মানুষকে মতবিরোধ ভুলে গিয়ে ইসলামের ঝাণ্ডা সমুন্নত করতে সবাইকে এক হওয়ার আহ্বান জানান। এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করেন হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। তার ছেলে ও নেতাকর্মীরা জেলগেটে তাকে স্বাগত জানান। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক। ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকেই মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর থেকেই কারান্তরীণ ছিলেন মামুনুল হক।