সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিরাজদিখানে অবাধে পোনা মাছ নিধন চলছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় একশ্রেণির লোভী জেলে নিষিদ্ধ বাদাই, কারেন্ট জাল ও বানা-সোতির বাঁধ দিয়ে প্রকাশ্যে মাছ শিকার করছেন। আবার কেউ কেউ শখের বসে কারেন্ট জালে মাছ ধরে বাহবা নিচ্ছেন। এতে এলাকা মাছশূন্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিবেশবিদেরা বলছেন, নিষিদ্ধ জালে মাছের সঙ্গে কাঁকড়া, শামুক-ঝিনুক ও জলজ কীটপতঙ্গও নিধন হচ্ছে। এতে বিলের জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়ছে।আজ সোমবার (০৬/০৫/২৪)দুপুরে সরোজমিন গিয়ে জান যায়,সিরাজদিখান উপজেলার শেখরনগর, বরাম, ফৈনপুর, ভূইরা,ইছামতি নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে জেলেরা সকাল-সন্ধ্যা নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির ছোটবড় মাছ নিধন করে স্থানীয় বাজারে বিক্রয় করছেন। কিন্তু সরকারিভাবে এসব অবৈধজাল দিয়ে মাছ ধরা নিষেধ থাকলেও দেখার কেউ নেই। এ ছাড়া উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের বরাম,ফৈনপুর এলাকায় সোতিজালের ঘের দিয়ে নৌকা চলাচল ও পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ করছেন স্থানীয় ইউপি সদস্যের লোকজন। বচাজারের পাশেই আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাঁনার বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করছেন ইউনিয়ন আ.লীগের সদস্য । এ ছাড়াও উপজেলার জামতলী-বামিহাল সড়কের সুকানগাড়ি এলাকায় রানী ভবানী খালে পরপর পাঁচটি সোতির বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ ও নির্বিচারে মা-মাছ ও জলজ কীটপতঙ্গ নিধন করছেন স্থানীয় আল আমীন, মোঃ মনির,মোঃ হোসেন সহ কিছু ব্যক্তি।শেখরনগর ইউনিয়ন আ.লীগের সদস্য আয়নাল বলেন, আমরা মাছে-ভাতে বাঙালি। পেট চালাতে গেলে একটু-আটটু তো মাছ ধরতেই হয়। তবে এভাবে বাঁনার বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করা ঠিক নয় বলে স্বীকার করেন তিনি।স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ফৈনপুর খালে যারা এভাবে বাঁধ দিয়ে রেখেছেন তারা শুধু পাড়া- প্রতিবেশী হিসাবে আত্মীয়। আর তিনি এই অবৈধ জিনিসকে কখনো সমর্থন করেন না। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাফরোজা সুলতানা বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বেশ কিছু নিষিদ্ধ চায়না জাল ও বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। ফৈনপুর, বরামের কোন অভিযোগ পাইনি। চিত্রকোট এলাকার কিন্তু বাঁধগুলো অপসারণের পরপরই আবার গড়ে উঠছে।সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুল হাসান বলেন, আমরা কোন খবর পাইনি তবে খবর পেলে অভিযান চালানো হবে।