জামালপুরের সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাফ্ফর হোসেনের বিরুদ্ধে। তার বক্তব্যের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। রোববার ছাত্রলীগ আয়োজিত বাবু বিজন কুমার চন্দের নির্বাচনি ছাত্র সমাবেশে সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের ছোনটিয়া কাছারি মাঠে মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাফ্ফর হোসেন এ বক্তব্য দেন। বিজন বাবুর (মোটরসাইকেল প্রতীক) বাইরে ভোট দিলে আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিহত করার হুমকি দেন তিনি। আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাফ্ফর হোসেন সদর (জামালপুর-৫) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিজন কুমার চন্দ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এই ছাত্র সমাবেশে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করীম রাব্বি। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বাবু বিজন কুমার চন্দ। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম জাফর ইকবাল জাফু, সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাফ্ফর হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহা রাজুসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন। ভিডিও ক্লিপটিতে সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাফ্ফর হোসেনকে বলতে শোনা যায়- ‘আমি বলতে চাই, বিজন বাবুকে ছাড়া তোমরা যদি আর কাউকে ভোট দেওয়ার চেষ্টা কর, তাহলে আমার ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সর্বস্তরের জনগণ প্রতিরোধ করবে ইনশাআল্লাহ। তাই বলতে চাই- আর দেরি নাই, আর মাত্র দুটো দিন আছে, এখনো সময় আছে আসো। আমাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে, আমাদের পিছে আসো। আমাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হও, বিজন বাবুর পিছে আসো। বিজন বাবুর মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট দাও। ওই বক্তব্যের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, আমি নির্বাচন নিয়ে কাউকে কোনো ধরনের হুমকি দেইনি। নির্বাচনি মাঠে পক্ষ-বিপক্ষ থাকাটাই স্বাভাবিক। ইতোমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের অনেক উচ্চপর্যায়ের নেতারা বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে নানারকম কথা বলছেন। যেহেতু জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ প্রার্থী হয়েছেন এবং আমরা তার নির্বাচনের প্রচার করছি সেহেতু আমরা তার পক্ষে কথা বলবই- এটাই নির্বাচনের পলিসি। আর কারো পক্ষ নিয়ে কথা বললে সেটা অপর পক্ষের বিপক্ষে যাবে- এটাই স্বাভাবিক বিষয়।