ইসরাইলে গোলাবারুদের চালান থামাল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিতঃ মে ৬, ২০২৪ | ৮:২৯ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি গোলাবারুদের একটি চালান ইসরাইলে পাঠানোর বিষয়টি থামিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে অবগত একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে বাইডেন প্রশাসন কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল, তা প্রকাশ করেনি সূত্র। সূত্র জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফায় সম্ভাব্য ইসরাইলি সামরিক অভিযানের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের যোগসূত্র নেই। তা ছাড়া এই সিদ্ধান্ত ইসরাইলে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য চালান পাঠানোর বিষয়টিকে প্রভাবিত করবে না। চালানটির বিষয়ে জানতে চাইলে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক মুখপাত্র ইসরাইলকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া চলমান নিরাপত্তা সহায়তার কথা উল্লেখ করেন। মুখপাত্র বলেন, গত ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে ইসরাইলের জন্য নিরাপত্তা সহায়তা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইলকে জরুরি সহায়তা দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সর্ববৃহৎ সম্পূরক বরাদ্দ পাস করেছে। ইরানের হামলা থেকে ইসরাইলকে রক্ষা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র একটি অভূতপূর্ব জোটের নেতৃত্ব দিয়েছে। ইসরাইল যেসব হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে, তা থেকে তারা যাতে নিজেদের রক্ষা করতে পারে, সেটি নিশ্চিতের জন্য যা যা করা দরকার, তা করতে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। খবরটি প্রথম প্রকাশ করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা দাবি করেন, ইসরাইলের প্রতি মার্কিন নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন একটি বৈদেশিক সহায়তা বিলে সই করেন। এতে ইসরাইল-হামাস সংঘাতকে কেন্দ্র করে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ১৫ বিলিয়ন ডলার ইসরাইলের জন্য সামরিক সহায়তা। ৯ বিলিয়ন ডলার গাজার জন্য মানবিক সহায়তা। আর ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার অঞ্চলটিতে মার্কিন সামরিক কার্যক্রমের জন্য রাখা হয়েছে। রাফায় বড় পরিসরে স্থল অভিযান চালাতে অনড় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এদিকে মার্কিন কর্মকর্তারা রাফায় সম্ভাব্য ইসরাইলি অভিযান নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। সাত মাস ধরে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এই হামলার মুখে গাজার বেশিরভাগ মানুষ উপত্যকাটির রাফায় আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আছে। ইসরাইল-হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তির লক্ষ্যে বর্তমানে আলোচনায় যুক্ত আছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই আলোচনায় কোনো অগ্রগতি নেই। ইসরাইল ও হামাসের অনড় অবস্থানের কারণে গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সূত্র: সিএনএন।