নরেন্দ্র মোদি ও তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বিজেপির ভিতরে ক্ষমতা ধরে রাখার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আখ্যায়িত করেন নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেজরিওয়াল বলেছেন, তারা আমাদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়। কিন্তু আম আদমি পার্টি হলো একটি আইডিয়ার নাম। তারা আমাদেরকে যতই শেষ করার চেষ্টা করবে, আমরা ততই বৃদ্ধি পাব। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের আদেশে তিহার জেল থেকে মুক্তি পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের উদ্দেশ্যে তিনি এ কথা বলেন। এদিন কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়েই নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। এরপরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল বিজেপিকে সরাসরি আক্রমণ করে বক্তব্য দেন। কেজরিওয়াল বলেন, বিজেপি নির্বাচনের আগে অনেক রাজ্যে তাদের দলের মুখ্যমন্ত্রীকে বদলে ফেলেছে। যদি আবার বিজেপি ক্ষমতায় আসে, তাহলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথমে যা করবেন তা হল তিনি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথকে বদলে ফেলবেন। তিনি বলেন, বিজেপির নেতা এলকে আদভানি, মুরলি যোশি, শিবরাজ চৌহান, বসুন্ধরা রাজে, খাত্তার, রমন সিংদের রাজনীতি শেষ হয়ে গেছে। এর পরের পালা যোগি আদিত্যনাথ। যদি মোদি বিজয়ী হন, তাহলে এক মাসের মধ্যে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টে ফেলবেন। আম আদমি পার্টির নেতা বলেন, বিজেপির আক্রমণের একটি ধরন আছে। তা হলো বিরোধী দল শাসিত রাজ্যগুলোর সব মুখ্যমন্ত্রীকে জেলে ভরা এবং তাদের সরকারকে উৎখাত করা। উল্লেখ্য, অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দিল্লিতে মদ বিষয়ক নীতির দুর্নীতির অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেড গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায়। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করেননি। তিনি এক্ষেত্রে ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমান্ত সরেনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। বলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলো তাকে কিভাবেই না নাস্তানাবুদ করেছে। কেজরিওয়াল বলেন, আমার আম আদমি পার্টি একটি ছোট দল। দুটি রাজ্যে এর উপস্থিতি আছে। কিন্তু আমাদের দলকে ভেঙে দিতে কিছু বাকি রাখেননি প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে আমার দলের চারজন নেতাকে জেলে পাঠানো হয়েছে। যদি একটি দলের চারজন শীর্ষ নেতাকে জেল দেওয়া হয়, তাহলে ওই পার্টি শেষ হয়ে যায়। তিনি বলেন, তারা আমাকে গ্রেপ্তার করে একটি বার্তা দিয়েছে। তা হল কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর তারা যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে। সরকারের এই মিশনের নাম হল- ‘এক জাতি, এক নেতা’।