দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষরা এখন কারাগারে, আর টেন্ডারবাজ, তদ্বিরবাজ, ধোকাবাজ, সিন্ডিকেটবাজ, চাঁদাবাজ, পাচারকারী ও ঋণখেলাপীদের দৌরাত্ম্য এখন চরমে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার (২০ মে) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, অনিয়ম, অপচয়, দুর্নীতি আর মূল্যবৃদ্ধির এই ভয়াবহ প্রকোপের মধ্যে জনজীবনে যে হতাশা, অশান্তি ও নৈরাজ্য নেমে এসেছে সেটিকে কার্পেটের নীচে ঢেকে রাখতে চান শেখ হাসিনা। সেজন্য জুলুমের মাত্রাকে তিনি তীব্র করেছেন বিক্ষোভ-প্রতিবাদকে স্তব্ধ করার জন্য। আওয়ামী লীগ যেন এমনই ‘ওয়াশিং মেশিন’ যে এর ভেতর দিয়ে ঢুকলে লুটেরা, হরিলুটকারী, টাকা পাচারকারী মহাদুর্নীতিবাজরা সাফসুতরো হয়ে যায়। শীর্ষ ব্যবসায়ী কোন অনুমতি না নিয়ে বিদেশে অর্থ সরিয়ে বিনিয়োগ করতে পারে। নিয়ম-নীতি না মেনে ক্ষমতাঘনিষ্ঠের কাছে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। ফলে ব্যাংকিং খাতে চরম অব্যবস্থাপনা। ঋণখেলাপীর পরিমান এতটাই বেড়েছে যে, দেশের আর্থিক খাত এখন শুণ্যের মধ্যে ঝুলছে। যেকোন সময় এর ভয়ংকর ক্র্যাশল্যান্ডিং হতে পারে। আর তাই মিথ্যা আর বিভ্রান্তি আওয়ামী নেতাদের সারাক্ষণের নিত্যসঙ্গী। মানুষের মনোযোগকে ধুসর ও বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অবিরাম বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে। অথচ বিরোধী নেতাদের প্রতি রীতি ও শালীনতা উপেক্ষা করে ক্রমাগত বিষোদগার করা হয়। বিরোধী দলের কথাবলা, স্বাধীন মত প্রকাশ করা আওয়ামী নীতিবিরুদ্ধ। তিনি বলেন, সারাদেশকে অনতিক্রম্য কাঁটাতারের বেড়ায় ঘিরে রাখার পরও জুলুমের পরিধি বিস্তৃত করা হচ্ছে প্রতিদিন। ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ছিলেন। অপেক্ষাকৃত এই তরুণ নেতার জনপ্রিয়তায় ডামি সরকার মনে করছে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতায় থাকার নিদারুণ ব্যাঘাত ঘটাবে। ইশরাকের সাহসী নেতৃত্বে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী অস্বস্তিবোধ করছে। ডামি সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা চিরস্থায়ী করতে চাচ্ছে কারাগারকে। তাই প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনকে গতকাল পল্টন থানার একটি মিথ্যা মামলায় জামিন না দিয়ে সরকারের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পেশীশক্তির জোরে চলছে বিরোধী দল দমনের কর্মসূচি। তারপরেও টলিয়ে দেয়া যায়নি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতাকর্মীরদের দৃঢ় অঙ্গীকার। প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের মতো একজন প্রতিশ্রুতিশীল বিএনপি নেতাকে গ্রেফতারের ঘটনা বর্তমান সরকারসৃষ্ট নৈরাজ্যের চরম দৃষ্টান্ত। সরকারের চোখ রাঙানীর বিরুদ্ধে সাহসী উচ্চারণ থেকে সরানো যায় না বলেই ইশরাককে কারাবন্দী করা হয়েছে। দখলদার সরকার কন্ঠের স্বাধীনতা সীমায়িত করতে অক্লান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু তারপরেও জেগে উঠছে বাংলাদেশ। মানুষের ক্ষোভের আগুনে ফ্যাসিবাদ ছাই হয়ে যাবে। রিজভী বলেন, আদালতের স্বাধীনতা থাকলে দুর্বল গদবাঁধা সাজানো মামলায় প্রকৌশলী ইশরাকসহ বিপুল সংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মীকে অকারণে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশী সাজা প্রদান ও আটক রাখতে পারতো না। তিনি অবিলম্বে জনতার মেয়র ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ফরমায়েশী সাজা বাতিল এবং অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানান। সংবাদ সম্মেলনে সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের বিবরণ তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, গতকাল পল্টন থানার একটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে জামিন চাইতে গেলে আজ্ঞাবহ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, মোয়াজ্জেম হোসেন, সদস্য মিজানুর রহমান বাচ্চু, বনানী থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বয়াক আবুল কালাম আজাদ, মিজানুর রহমান মিজান, ইমান হোসেন নুর, ওসমান গণি খোকন, হবিবুল্লাহ হবিসহ মোট ৩০ জন নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে আজ্ঞাবহ আদালত। এছাড়াও ক্যান্টনমেন্ট থানার ৩ টি মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা- শামসুল আলম বাবুল, মোশারফ হোসেন, সফুর উদ্দিন, জিন্নাত আলী, তালহা আবরার ও তোফাজ্জল হোসেন বাবুসহ মোট ১৪ জন নেতাকর্মী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতে জামিন চাইতে গেলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। গত ৫ মে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আওতাধীন কলাবাগান থানার একটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ১৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ আশরাফুল আলম, ১৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামাল খান, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ কামাল হোসেন, কলাবাগান থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক টিপু ও থানা যুবদল নেতা নয়ন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইতে গেলে আজ্ঞাবহ আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। ৬ মে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অন্তর্গত সূত্রাপুর থানার একটি মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৪৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান কাউসার, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন, থানা বিএনপি নেতা এম এ সজুব ও মোঃ নয়ন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতে জামিন চাইতে গেলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। এছাড়াও গত ০৭ মে ২০২৪ তারিখ ডেমরা থানার একটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৬৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক-মোঃ মোশাররফ হোসেন সাজু আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইতে গেলে আজ্ঞাবহ আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। ৭ মে, বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাহিদুল হাসান হিরুকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা বিনা কারণে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করে। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন সোনারগাঁও থানার ২০১২ সালের একটি মিথ্যা মামলায় জামপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ মুছা ভূইয়া, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোঃ রবিউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আবু সায়েম ও ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ শহিদসহ মোট ১২ জন নেতাকর্মীকে ফরমায়েশী রায়ে ৩ বছর সাজা প্রদানের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলায় সাজা প্রত্যাহারের জোর আহ্বান করছি। ৮ মে, চুয়াডাঙ্গা জেলাধীন দামুরহুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোকাররম হোসেন ও সদস্য সচিব মাহফুজুর রহমান মিল্টনসহ মোট ১৩ জন নেতাকর্মী উচ্চ আদালতে জামিনে থাকা সত্বেও নি¤œ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। এছাড়াও চট্টগ্রাম উত্তর জেলাধীন ফটিকছড়ি পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ একটি মিথ্যা মামলায় এবং লক্ষীপুর জেলাধীন রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিম উদ্দিন রাতুল সাইবার ট্রাইব্যুনাল মামলায় ৩ বছরের মিথ্যা সাজায় আদালতে জামিন চাইতে গেলে আজ্ঞাবহ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। ১৩ মে, শাহবাগ থানার একটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ও শাহবাগ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান, শ্যামপুর থানা বিএনপি নেতা শেখ সাইফুল ইসলাম, মোঃ জাকির হোসেন, থানা যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ জামাল উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ হাফিজ উদ্দিন, থানা কৃষকদলের সদস্য সচিব মোঃ সুজন, ৫১ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সালাউদ্দিন ও যুবদল নেতা মোঃ হিমেল আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতে জামিন চাইতে গেলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। ১৫ মে, সূত্রাপুর থানার একটি মিথ্যা মামলায় ৪২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মমতাজুল হক লিটন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আজ্ঞাবহ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। গতকাল কামরাঙ্গীচর থানাধীন ৫৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব মোহাম্মদ সামিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ২৯ এপ্রিল, মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ, মিথ্যা মামলায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম ওবায়দুল হক নাসির এর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ, হাইকোর্টের জামিন থাকা সত্ত্বেও কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসাইন কায়কোবাদসহ বেশকয়েকজন নেতৃবৃন্দের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ এবং রাজশাহী জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সাবেক ছাত্রনেতা সাদ্দাম হোসেন এর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ২৭ এপ্রিল, ঢাকা জেলাধীন কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোঃ ঈসা খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়াও চট্টগ্রাম মহানগরের চান্দগাঁও থানার অন্তর্গত ৬ নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী মাহমুদুল হারুন সওদাগরকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। ২৫ এপ্রিল, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান (ভিপি মিজান) যুগ্ম সম্পাদক মোহিতুর রহমান হেলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক কিশোর দাস চৌধুরী, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এম এ মুহিত, যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম পিরুন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আহমেদ আহাদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি যুবনেতা এম এ নিশাত, জেলা জাসাসের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহিদুর রহমান জুনেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জায়েদ আহমদ ও সদস্য রুহেল আহমেদ একটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় উচ্চ আদালতের জামিন থাকা সত্ত্বেও নি¤œ আদালতে জামিন চাইতে গেলে আজ্ঞাবহ আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেররণ করে। এছাড়াও দিনাজপুর জেলাধীন পার্বতীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম বাবু, জেলা বিএনপির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সাদো, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ মাহাবুবুর রহমান সংগ্রাম ও যুগ্ম আহ্বায়ক জোবায়ের হোসেন বাবুসহ বেশকয়েকজন নেতাকর্মী মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় উচ্চ আদালতের জামিন থাকা সত্ত্বেও নি¤œ আদালতে জামিন চাইতে গেলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। গত ২৪ এপ্রিল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মনির মুন্সি, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব বাবু ও মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব শাহেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়াও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আওতাধীন চকবাজার থানার একটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় লালবাগ থানাধীন ২৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম আমিন, চকবাজার থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আরমান আহমেদ, সাবেক সদস্য সচিব নাজিম উদ্দিন নাজু খান ও ২৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মোঃ মঈন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন চাইলে গেলে আজ্ঞাবহ আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুল হক এবং বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির জেষ্ঠ্য সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ কারাবন্দী সকল নেতৃবৃন্দের নি:শর্ত মুক্তির জোর আহ্বান করছি। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, কেন্দ্রীয় নেতা মুনির হোসেন সেলিম, আমিনুল ইসলাম, তারিকুল আলম তেনজিং, নবী উল্লাহ নবী, কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, মনির হোসেন, আবদুল সাত্তার প্রমুখ।