নাটোরের বড়াইগ্রামে গৃহবধূ নাহার বেগম(৪২) হত্যা মামলায় চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব। সোমবার (১৯ মে) দিনগত রাত গুরুদাসপুর উপজেলা থেকে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। আজ সকালে নাটোর র্যাব ক্যাম্প থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। নিহত নাহার বেগম গুরুদাসপুর উপজেলার সোনাবাজু পাটপাড়া গ্রামের বাক্কাস আলির মেয়ে। আসামিরা হলেন- মো. মাজেম আলী (৫৫), মো. ফিরোজ হোসেন(৪৫), মো. শাহানুর (৩২) এবং মো. আঃ মতিন (৪০)। র্যাব নাটোর বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ১০ বছর আগে বাদীর বোন নাহার বেগমের (৪২) সাথে আসামি লোকমান সাকিদার (৫৫) বিয়ে হয়। বিয়ের পর আসামি লোকমান ৭.৫ শতাংশ জমি তার স্ত্রীরর নামে জমির দলিল করে দেয়। পরবর্তীত আসামি লোকমান দুই বছর পূর্বে আসামি মোছা. তারা বেগম (৪৫) নামে আরেক জনকে বিয়ে করে। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে লোকমান বাদীর বোনের কাছ থেকে জমি ফেরত চায়। এবং জমি ফেরত না দেওয়ার আসামিরা বাদীর বোনকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও মারপিট করতো। বাদীর বোন আসামিদের অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করে আসামি লোকমানের সাথে সংসার করতে থাকে। এক পর্যায়ে আসামিদের যত্নণা অসহনীয় মাত্রায় পৌঁছালে বাদীর বোন তার স্বামীর বাড়ি থেকে বড়াইগ্রামের পারকোল গ্রামে জনক মোছা. আজমি আরা বেগমের বাড়িতে যায়। পরে ১১মে দুপুর আসামি লোকমান ও মোছা. তারা বেগম ওই বাড়িতে গিয়ে বাদীর বোন নাহার বেগমকে সাথে নিয়ে বড়াইগ্রামের নওপাড়া গ্রামর উদ্দশ্য রওনা হয়। ১৩মে আসামি লোকমান জনক দুলাল প্রামানিককে জানায়, তার স্ত্রী নাহারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরবর্তীতে ১৭ মে বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার কালিকাপুর বড়পাড়া গ্রামে পানির ট্যাংকির পূর্বপাশে ঘাসের জমিতে অর্ধগলিত অজ্ঞাতনামা এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আসামিরা সু-পরিকল্পিতভাবে বাদীর বোন নাহার বেগমকে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং লাশ গুম করে। পরবর্তীতে নিহতের ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। র্যাব নাটোর আরও জানান, এ মামলা পর থেকেই আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। মামলার তদন্তকারী অফিসার আসামিদের গ্রেফতারের জন্য সিপিসি-২, নাটোর র্যাব-৫ বরাবর অধিযাচনপত্র প্রদান করেন। পরে গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের অবস্থান সনাক্ত মামলার চার আসামিকে গ্রেফতার করেন। এরপর আসামিদের বড়াইগ্রাম থানায় হস্তান্তর করেন।