ঢাকা থেকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বাসায় ফেরেন আনারকন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। শুক্রবার দুপুরে শহরের ভূষণ স্কুল সড়কে নিজ বাসভবনের নিচে স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি তার বাবার হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করেন। ডরিন বলেন, স্পিকারের সহযোগিতায় ভারতীয় ভিসা পেয়েছি। প্রয়োজন হলে ভারত যাব। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার বাবা হত্যার বিচার করেছেন তাহলে আমার বাবা হত্যারও বিচার তিনি অবশ্যই করবেন। জীবিত থাকতে বুঝিনি বাবা কতটা জনপ্রিয় ছিল। বাবা হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে দেখেছি বাবাকে মানুষ কতটা ভালোবাসে। যেখানে গেছি সবার ভালোবাসা পেয়েছি, সেটা একমাত্র বাবার কারণে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুযোগ পেলে অবশ্যই রাজনীতি করব; তবে সেটা নিয়ে এখন ভাবছি না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমি কথা বলেছি, তিনি আমাকে আশস্ত করেছেন— বাবা হত্যার বিচার তিনি করবেন। তিনি আমার পাশে থেকে সব সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তিনি এখন আমার একমাত্র অভিভাবক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব হোসেন খান, সহসভাপতি শামীম আরা মান্নান, কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলমসহ অন্যরা। এদিকে এমপি আনার হত্যায় উপজেলার প্রতিটি মসজিদে মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।