পাপুয়া নিউগিনির ছয়টি প্রত্যন্ত গ্রামে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে শতাধিক মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় কর্মকর্তা ও সাহায্য সংস্থাগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত ৩টার দিকে এ ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। রাজধানী পোর্ট মোর্সবি থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার উত্তরের এনগা প্রদেশের কাওকালাম গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। মধ্যরাতে যখন ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে, তখন গ্রামের বেশির ভাগ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন। রয়টার্স। দুর্যোগপূর্ণ এলাকাটিতে ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশপাশের এলাকা। গাছপালা ভেঙে গেছে। ঘরবাড়িও বিধ্বস্ত হয়েছে। এ বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুরো ঘটনা সম্পর্কে তাকে এখনো পরিষ্কারভাবে জানানো হয়নি। তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করছে। তিনি বলেন, এনগার প্রাদেশিক ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ত্রাণ, লাশ উদ্ধার ও অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ উদ্যোগে সমন্বয় করার জন্য আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, প্রতিরক্ষা বাহিনী, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের পাঠাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে আরও বলেন, এ বিষয়ে আমরা পরবর্তীতে আরও তথ্য জানাব। অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (এবিসি) এবং অন্যান্য স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, ভূমিধসে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। তবে রয়টার্স স্বাধীনভাবে এই সংখ্যা যাচাই করতে পারেনি। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ফুটেজ এবং ভিডিওতে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বড় বড় পাথর সরানোর চেষ্টা করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ভেঙে পড়া ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচে অনেকেই চাপা পড়েছেন। পোরগেরা শহরের একটি নারী ব্যবসায়িক সমিতির পরিচালক এলিজাবেথ লারুমা বলেছেন, ভূমিধসের কারণে পোরগেরা শহর ও গ্রাম সংযোগকারী রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।