সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী আজ। ১৯৮১ সালের ৩০ মে ভোরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বিপথগামী কিছু সেনা সদস্যের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন তিনি। এরপর থেকে বিএনপি ও সমমনা দল এবং এর অঙ্গসংগঠনগুলো দিনটিকে জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী হিসাবে পালন করে আসছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল এবং দুস্থদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী, বস্ত্র বিতরণসহ নানা কর্মসূচি নিয়েছে বিএনপি। ঘোষণা করা হয়েছে ১৫ দিনের কর্মসূচি। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বুধবারও রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা হয়। কর্মসূচির মধ্যে আজ ভোরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব মহানগর ও জেলা কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করা, কালো পতাকা উত্তোলন ও নেতাকর্মীদের কালো ব্যাজ ধারণ। সকালে ঢাকায় শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের শ্রদ্ধা নিবেদন। এরপর ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তর ও দক্ষিণ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এছাড়া এদিন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে ৯টি স্পটে ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে ১৬টি স্পটে খাদ্য, বস্ত্র, বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হবে। এসব স্পটে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতারা প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন। দলের প্রতিষ্ঠাতার শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শহিদ জিয়ার জনপ্রিয়তা দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা কখনোই মেনে নিতে পারেনি, তাকে হত্যা করা হয়। এ মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশবাসী একজন মহান দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদীকে হারায়। তিনি বলেন, ‘বর্তমান ডামি আওয়ামী সরকার দেশে একদলীয় দুঃশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। গণতন্ত্রকামী প্রায় ৫০ লাখ রাজনৈতিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে অনেককে সাজা দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিনই অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। হত্যা, খুন, গুম ও বিনাবিচারে হত্যা এবং অমানবিক নির্যাতন যেন বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ভাগ্যের লিখন করা হয়েছে। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তমকে আমাদের বারবার স্মরণ ও অনুসরণ করতে হবে। এই অবৈধ সরকারকে পদত্যাগ ও অবৈধ সংসদ বিলুপ্ত করে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।’