আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান খেলবে ‘এ’ গ্রুপে। সেখানে তাদের চার প্রতিপক্ষ হল ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড ও কানাডা। আগামী ৬ জুন টেক্সাসে সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ২০ ওভারের ক্রিকেটের এবারের বিশ্ব আসরে যাত্রা শুরু করবেন বাবররা। বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা মোটেও আশানুরূপ হচ্ছে না পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের। বৃহস্পতিবার রাতে ইংলিশদের কাছে ৭ উইকেটে হেরে যায় পাকিস্তান। বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে চার ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হারল তারা। প্রথম ও তৃতীয় ম্যাচ ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। লন্ডনের ওভালে চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে লড়াইবিহীন হারের পর মিডল অর্ডারকে জেগে ওঠার বার্তা দিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ব্যর্থ হয়েছিল দলটির ব্যাটিং লাইনআপের মধ্যভাগ। ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাবর বলেন, ছয় ওভার পর্যন্ত আমরা ব্যাটিংয়ে খুব ভালো করছিলাম। কিন্তু তখনই আমি আউট হয়ে যাই। আর মিডল অর্ডারকে জেগে উঠতে হবে। ইংল্যান্ডের বোলিং দুর্দান্ত। তাদের বিপক্ষে যেকোনো সুযোগ পেলেই তা আপনাকে নিতে হবে। বিশ্বকাপের জন্য এই বিষয়গুলো আমাদের ঠিকঠাক করা প্রয়োজন। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা দারুণ ছিল। কিন্তু পাওয়ার প্লের শেষ বলে দলীয় ৫৯ রানে বাবর আউট হন। এলোমেলো হয়ে পড়ে ব্যাটিং। শক্ত ভিতকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন মিডল অর্ডারের খেলোয়াড়রা। চারে নামা ফখর জামান ৯ বলে ৯ করে ফেলেন। পাঁচ ও ছয় নম্বরে ক্রিজে যাওয়া যথাক্রমে শাদাব খান ও আজম খান রানের খাতাই খুলতে ব্যর্থ হন। সাতে নেমে ইফতিখার আহমেদ ২১ রান করেন ১৮ বল খেলে। এজবাস্টনে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ফখর জ্বলে উঠলেও মিডল অর্ডারের বাকিরা ছিলেন একই রকমের নিষ্প্রভ। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ফখর ২১ বলে ৪৫ রানে আউট হওয়ার পর অন্যরা দায়িত্ব নিতে পারেননি। শাদাব ৩ ও আজম ৪ রানে বিদায় নিয়েছিলেন। ইফতিখার করেছিলেন ১৭ বলে ২৩ রান। ইংল্যান্ডের দেওয়া ১৮৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শেষমেশ ১৬০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। তারা ম্যাচ হেরেছিল ২৩ রানে। পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেওয়া ১৫৮ রানের সাদামাটা লক্ষ্য ২৭ বল হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা লেগ স্পিনার আদিল রশিদ ২৭ রান খরচায় পান ২ উইকেট। তার পাশাপাশি দুটি করে উইকেট দখল করেন মার্ক উড ও লিয়াম লিভিংস্টোন। সিরিজসেরার পুরস্কার ওঠে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলারের হাতে। তিনি এই ম্যাচে ৭ চার ও ১ ছক্কার সাহায্যে খেলেন ২১ বলে ৩৯ রানের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৪৫ রান আসে ফিল সল্টের ব্যাট থেকে। ২৪ বল মোকাবিলায় তিনি হাঁকান ৬ চার ও ২ ছক্কা।