মুক্তিযুদ্ধের সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রশ্ন তোলায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলেন-যুদ্ধের সময় খালেদা জিয়া কোথায় ছিলেন? যাদের কোনো অবদান নেই তারাই এগুলো বলতে পারেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে বহুদলীয় গণতন্ত্র সবই তো জিয়া পরিবারের অবদান। জিয়াউর রহমান সম্মুখ যোদ্ধার অপরাধে দুই শিশু সন্তানসহ বন্দি রাখা হয় খালেদা জিয়াকে। আপনি প্রধানমন্ত্রী সে সময় কোথায় ছিলেন? সেসময় ধানমণ্ডির ৩২ নং বাড়ির ভাড়া কারা দিয়েছে? কারা আপনার বাসায় নিরাপত্তা দিতো? আপনি (প্রধানমন্ত্রী) পাকিস্তানিদের টাকায় খাবার খেয়েছেন। রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর বলেন বলেন, আজকে বিদেশী রেমিটেন্স ও গার্মেন্টের ওপর ভর করে রাষ্ট্র চালাচ্ছেন। এসব জিয়াউর রহমানের অবদান। জিয়া শুধু বীর উত্তম নন, উত্তমের উত্তম। জিয়াউর রহমানের সততা নিয়ে কারো কথা বলার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের জবাবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সম্প্রতি শেখ হাসিনা বলেছেন, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করবেন। যেদিন তিনি আসবেন সেদিন জনতার ঢেউয়ে আপনারা কোথায় ভেসে যাবেন তা একবার চিন্তা করুন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, বিএনপিকে শেষ করতে দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্রে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়। কিন্তু যারা ভেবেছিল জিয়াউর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে বিএনপি শেষ হয়ে যাবে, তাদের মুখে চুনকালি মেখে দিয়ে গৃহবধূ থেকে রাজনীতিতে নেমে এসেছিলেন। তার নেতৃত্ব বিএনপি দেশে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। আবারো বিএনপিকে ধ্বংস করতে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। সরকারের সেই হীন চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে। তারেক রহমান এখন দেশের মানুষের মনে আস্থা তৈরী করেছেন। ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ছাত্রদলকে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু করে কোথায় কর্মসূচি করতে হল ভাড়া দেওয়া হয় না। আজকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের বিতাড়িত করা হয়েছে। বারবার সেখানে গিয়ে রক্তাক্ত হয়েছি। তবু আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়িনি। আজকে প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ছাত্রলীগকেও সে পরিস্থিতির মুখোমুখি হবার জন্য প্রস্তুতি থাকার আহবান জানাচ্ছি। এতে আরো অংশ নেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আসাদুজ্জামান আসলাম, সুজন মোল্লা, মহানগর ছাত্রদলের শেখ খালিদ হাসান জ্যাকি, আল আমিন, পাভেল সিকদার, নিয়াজ মাহমুদ নিলয়, মেহেদী হাসান রুয়েল, রাসেল বাবু, নাসির আনান, জুয়েল হাসান রাজ, ঢাকা কলেজের শাহীনুর রহমান (শাহীন), জুলহাস মিয়া (মৃধা জুলহাস), সরকারি তিতুমীর কলেজের আরিফুর রহমান এমদাদ, ইমাম হোসেন, তেজগাঁও কলেজের ফয়সাল দেওয়ান বেলাল হোসেন খান, কবি নজরুল সরকারী কলেজের সাইদুর রহমান সাইদ, কাওসার হোসেন, সরকারী বাঙলা কলেজের হোসেন বিপ্লব, বেল্লাল হোসেন সোহাগ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবু হোরায়রা, রাজিবুল ইসলাম তালুকদার (বিন্দু), শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আহমেদুল কবীর তাপস, বি.এম. আলমগীর কবীর প্রমুখ।