বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলটির মহাসচিব পদে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের থাকার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, মির্জা ফখরুলের কি এই পদে থাকার বৈধ অধিকার রয়েছে? তার দলের গঠনতন্ত্র তিনি লংঘন করেছেন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির গঠনতন্ত্র পড়েছেন? মির্জা ফখরুল কত বছর থাকতে পারেন? এই ডিসেম্বরের পরের ডিসেম্বর আমার টার্ম শেষ। যথাসময়ে সম্মেলন হবে আমাদের। তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল কত বছর ধরে তার দলের গঠনতন্ত্রকে লংঘন করে মহাসচিব, হিসেবে আছে? তারা গণতান্ত্রিক দল নয়, তারা নিজেরা ঘরে গণতন্ত্র চর্চা করে না, দেশের গণতন্ত্র কীভাবে প্রতিষ্ঠা করবে? মির্জা ফখরুলের কি এই পদে থাকার বৈধ অধিকার রয়েছে? তার গঠনতন্ত্র সে লংঘন করেছে। সম্মেলন ছাড়া মহাসচিব কত বছর, সেটা আগে জিজ্ঞেস করুন।’ বিএনপির দলের ভেতরে গণতন্ত্র নেই, তারা দেশের গণতন্ত্র কীভাবে আনবে প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগে যথাসময়ে সম্মেলন হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম কয়বার কত বছরে সম্মেলন না হয়েই বিএনপির মহাসচিব দলের গঠনতন্ত্র ভেঙ্গে। সম্মেলন ছাড়া মহাসচিব কত বছর? এ সময় সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে সেতু মন্ত্রী বলেন, এটি প্রক্রিয়াধীন আছে। তদন্ত চলছে। দুদক মামলা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার বিদেশ যাত্রা বিষয়টি তিনি অবহিত নন বলে গণমাধ্যমকে জানান তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর কোন দেশেই গণতন্ত্র পারফেক্ট নয়। আমাদের দেশের গণতন্ত্রও পারফেক্ট দাবি করি না। তবে পারফেক্ট করার পথে আমাদের চেষ্টা আছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে আন্তরিক। আজকে বিএনপি যারা বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা বলে তাদের গণতন্ত্র ছিল কারফিউ গণতন্ত্র। ১৫ই ফেব্রুয়ারি হ্যা/না ভোট। যেখানে হ্যা ভোট ১১৪ শতাংশ।১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার। গণতন্ত্রকে তারা ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গিয়েছিল। নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রহসন এবং তামাশায় পরিণত করেছিল। তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি ভূতের মুখে রাম নাম। দুর্নীতিবাজ তারেক রহমান ও খালেদা জিয়াকে দেশের জনপ্রিয় নেতা দাবি করা বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আমলে হাওয়া ভবন ছিল দুর্নীতি আর লুটপাটের ভবন। এখন তারা দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে। বিএনপি আমলে দুর্নীতি করা দলের কাউকে কি কোন শাস্তি দিয়েছে তারা? প্রশাসনের কাউকে শাস্তি দিয়েছে? আওয়ামী লীগ সরকার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তদন্ত হচ্ছে। সরকার-বিএনপির মতো ইমিউনিটি কালচার গড়ে তোলেনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক এডভোকেট সায়েম খান সহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।