মুক্তার উদ্দিন (৬০) নামের এক গ্রাহক অভিযোগ করতে গিয়ে পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীদের বেধড়ক মারধরে জ্ঞান হারিয়ে অফিসের গেটের সামনের রাস্তায় পড়ে আছেন এমন ঘটনার একটি স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের সামনে বুধবার বিকাল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তিনি পাকুন্দিয়া পৌর সদরের হাপানিয়া গ্রামের মির্জা আলীর ছেলে। জানা গেছে, রোববার মুক্তার উদ্দিনের বাড়ির বিদ্যুতের লাইনটি পুড়ে যায়। এটি মেরামতের জন্য ওই দিনই তিনি বিদ্যুৎ অফিসে যান। লাইনটি মেরামতের আশ্বাস পেয়ে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু দুদিন অপেক্ষার পরও লোকজন না আসায় তিনি মঙ্গলবার আবার বিদ্যুৎ অফিসে যান। ওই দিনও একই রকম আশ্বাসে তিনি বাড়ি ফিরে এলেও পল্লী বিদ্যুতের কোনো লোক আসেনি। এমন পরিস্থিতিতে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার বিকালে মেয়ে সুমা আক্তারকে নিয়ে আবারও বিদ্যুৎ অফিসে যান। সেখানে যাওয়ার পর পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীরা তার সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ওই অফিসের একজন কর্মচারী মুক্তারের পেটে লাথি ও কিল-ঘুসি মারেন। এ সময় অপর এক কর্মচারী তার গলা ধরে উপরে উঠিয়ে মাটিতে আছড়ে ফেলেন। এমন নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে থাকেন। এ দেখে আশপাশের লোকজন ছুটে আসতে থাকলে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন গেটে তালা লাগিয়ে গাঢাকা দেন। খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। এ বিষয়ে কথা বলতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পাকুন্দিয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম এবং কিশোরগঞ্জের এজিএমকে মোবাইল ফোনে বারবার কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। পাকুন্দিয়া থানার ওসি আসাদুজ্জামান টিটু জানান, ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার আগেই পল্লী বিদ্যুতের লোকজন তার বাড়িতে গিয়ে নিষ্পত্তি করে ফেলেছেন বলে জানা গেছে।