দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদকে নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এরই মধ্যে তার সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং বেশ কিছু সম্পত্তি জব্দও করা হয়েছে। এদিকে যাকে নিয়ে নানা মহলে তোলপাড় চলছে, সেই বেনজীরের খোঁজ মিলছে না কোথাও। এমনকি দুদক কয়েক দফা হাজির হতে বললেও হদিস মেলেনি তার। দেশের গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, গোপনে দেশ ছেড়েছেন সাবেক এই পুলিশ প্রধান। কিন্তু তিনি কোথায় আছেন, আর কিভাবেই বা দেশ ছেড়েছেন- এসব প্রশ্নের কোনো জবাব মিলছে না। তিনি আসলেই দেশ ছেড়ে চলে গেছেন কি না, গেলে কোথায় গেছেন বা তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কেউ খোলাসা করে কিছু বলছে না। প্রশ্ন হচ্ছে- যখন তার অবৈধ সম্পদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, তখন কি তিনি দেশ ছাড়তে পারেন? সরকার কেনই বা তার অবস্থানের বিষয়ে পরিষ্কার কোনো তথ্য জানাতে পারছে না! দেশের গণমাধ্যমে যে সব খবর প্রকাশিত হচ্ছে, তাতে মধ্যে অনেকেই দাবি করেন, গত ৪ মে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশ ছাড়েন সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা। একই সঙ্গে দেশ ছেড়েছেন তার স্ত্রী ও তিন কন্যা। কোনো কোনো গণমাধ্যমের খবর বলছে, বেনজীর আহমেদ সিঙ্গাপুরে আছেন। কেউ বলছে, তার বর্তমান অবস্থান দুবাইয়ে। সর্বশেষ মঙ্গলবার একটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কে নিজের কেনা বাড়িতে আছেন সাবেক এই পুলিশ মহাপরিদর্শক। গণমাধ্যমগুলোর কোনো কোনোটি আবার বলছে, দেশেই আছেন বেনজীর আহমেদ। এত সব খবরের ভিড়ে এখনো পর্যন্ত ধোঁয়াশা রয়েই গেছে তার অবস্থান নিয়ে। এমন অবস্থায় বুধবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, সাবেক আইজিপির সিঙ্গাপুরে যাওয়ার কথা তিনি নিজেও শুনেছেন। তবে সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারেন না তিনি। স্বরাষ্টমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখনও সুনিশ্চিত নই যে, তিনি আসলে কোথায় আছেন। আমি শুনছি তিনি সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন। আমার আশা, তিনি হয়তো ফিরে আসবেন। তিনি এসে নিশ্চয়ই তার বিরুদ্ধে যে সব অপবাদ আছে, সেগুলো ফেস করবেন।\' অন্যদিকে বেনজীরের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক জানিয়েছেন, এখন এ বিষয়ে তারা কোনো মন্তব্য করতে চান না তিনি। সূত্র: বিবিসি বাংলা।