তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মোদির এই শপথ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, মরিশাস, সেশেলসের রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এরই সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে দাওয়াত করা হয়েছে ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচার শুরু করা চিনপন্থী মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জুকে। বিগত কয়েকমাস ধরেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছে মালদ্বীপের। ‘মোদি ২.০’-র সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল মুইজ্জু প্রশাসনের। তবে ভারতের পররাষ্ট্রনীতির অন্তরঙ্গ মন্ত্র— প্রতিবেশীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সেই মন্ত্রেই মুইজ্জুকে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর আগে এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পরই বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানদের মতো মুইজ্জুও সোশাল মিডিয়ায় নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুভেচ্ছাবার্তা পোস্ট করেছিলেন। এদিকে, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথম ভারতে আসতে পারেন মুইজ্জু। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, দিল্লির আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন মুইজ্জু। তার সঙ্গে আরও তিন মন্ত্রী থাকতে পারেন বলে জানা গেছে। চিনপন্থি মুইজ্জু প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছিলেন, মালদ্বীপের মাটিতে কোনো ভারতীয় সৈনিক থাকতে পারবে না। সেই নিয়ে দিল্লিকে তিনি বারবার আক্রমণ শানিয়েছিলেন। \'ইন্ডিয়া আউট\' প্রচার শুরু করেন মুইজ্জু। প্রসঙ্গত, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাহায্য বা অসুস্থদের এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্যে ভারতের তরফ থেকে দুটি হেলিকপ্টার এবং একটি ডর্নিয়ার বিমান দেওয়া হয়েছিল মালদ্বীপকে। সেই তিন বিমান পরিচালনার জন্যেই ৭৬ জন ভারতীয় জওয়ান মালদ্বীপে মোতায়েন ছিলেন। তাদের সরানো হয়েছে মালদ্বীপ থেকে। এই সেনা জওয়ানদের সরাতে ১০ মে পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। সেই ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগেই ভারত তাদের জওয়ানদের সরিয়ে নিয়ে আসে। বদলে সাধারণ ভারতীয় নাগরিকদের সেখানে নিযুক্ত করা হয়।