বিদেশে পাচারের নীলনকশা!

প্রকাশিতঃ জুন ১১, ২০২৪ | ৭:৫০ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অধিক মুনাফার প্রলোভনে সারা দেশ থেকে অন্তত ৮০০ কোটি টাকার ‘আমানত’ সংগ্রহ করেছে রাজশাহীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আমানা গ্রুপ। মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম)-এর আদলে তাদের পুঁজি সংগ্রহের কার্যক্রম নিয়ে ইতোমধ্যেই বিতর্ক উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির অধীনে বিশাল আবাসন প্রকল্পের নামসর্বস্ব কাগুজে জায়গাজমি দেখিয়ে বাণিজ্যের নামে উঠেছে প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ। কোম্পানির কর্ণধাররা অবৈধভাবে যুক্তরাজ্য, দুবাই, ভারত ও পাকিস্তানে ব্যবসায়িক কানেকশন তৈরি করে সাধারণের কাছ থেকে সংগ্রহ করা আমানতের বিপুল অর্থ পাচারের ‘নীলনকশা’ তৈরি করেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই গ্রুপের ব্যবসায়িক অংশীদার হিসাবে আছেন আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য, তার স্ত্রী ও কন্যা। ইতোমধ্যেই দেশবিদেশে একাধিক কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে বিদেশি নাগরিকদেরও যুক্ত করা হয়েছে। একটি সরকারি সংস্থার তৈরি করা ২৪ পাতার এক প্রতিবেদনের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে জানা গেছে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য। জানতে চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, অতীতে দেশে ইভ্যালি বা যুবকের মতো প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনাগুলো বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া আমানা গ্রুপ যে বিপুল অঙ্কের অর্থ সংগ্রহ করেছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখা উচিত। আলাপকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, এ ব্যবসায়িক পদক্ষেপগুলোকে পর্যায়ক্রমে সাজালে খুব সরলভাবে দেখার সুযোগ নেই। কারণ, বাণিজ্যের নামে অর্থ পাচারের (টিবিএমএল) ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সতর্কসংকেতগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য এ পুরো প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান। দেশে বিপুল অর্থ সংগ্রহকারী একটি প্রতিষ্ঠান, যার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে, তারা হঠাৎ করে বিদেশে নামসর্বস্ব কোম্পানি খোলার মাধ্যমে আন্তঃসম্পর্কযুক্ত আমদানি-রপ্তানিকারক হওয়ার সুযোগ তৈরি করেছে। এ বিষয়টি গাইডলাইনের প্রথম দুটি সতর্কসংকেতের মধ্যে পড়েছে। এর সঙ্গে নিজস্ব শিপিং কোম্পানি গঠন এবং দুপক্ষেই রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের নেপথ্য সংযোগ একই গাইডলাইনের ৪, ৩৩ ও ৩৭ নম্বর সতর্কসংকেতের আওতায় আসে। ৮০০ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ : আমানা গ্রুপের অভ্যন্তরীণ নথিপত্র পর্যালোচনা করে জানা যায়, ২০১৭ সাল থেকে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে ব্যক্তিপর্যায়ে বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগের নামে আমানত সংগ্রহ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২১ সাল নাগাদ বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কয়েক শতে দাঁড়ায়। এদের দুভাগে ভাগ করে একটির নাম দেয় শেয়ার ডিভিডেন্ট। যাতে প্রতি লাখে ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ মুনাফা দেওয়ার কথা বলা হয়। অন্যভাগে তিন ধরনের বিনিয়োগকারীকে রাখা হয়েছে। ১ থেকে ২ বছর মেয়াদি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৩ শতাংশ, ৩ থেকে ৫ বছর মেয়াদি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৪ শতাংশ আর ৬ বছর এবং এর বেশি মেয়াদি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ হারে মুনাফা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে গ্রুপটি। প্রাপ্ত নথিপত্রে দেখা যায়, ২০২২ সাল নাগাদ প্রায় ৪৫০ ব্যক্তির কাছ থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বিভিন্ন অঙ্কের বিপুল আমানত সংগ্রহ করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, ২০২৩ সালেই তাদের বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। আর বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক জানান, এ ধরনের আর্থিক লেনদেনের জন্য আমানা গ্রুপের কোনো অনুমোদন নেই। এমএলএম ব্যবসার আদলে তাদের আমানত সংগ্রহের এমন ঘটনা তারও জানা নেই। প্রতারণার অভিযোগ : জানা যায়, অন্যের জমি নিজেদের নকশায় দেখিয়ে কয়েক বছর আগে রাজশাহীতে প্লট বিক্রি শুরু করে আমানা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান উত্তরায়ন আমানা সিটি লিমিটেড। কোম্পানিটি তাদের প্রকল্প নকশায় সাড়ে ৬ হাজার বিঘা জমির কথা উল্লেখ করে। বাস্তবে অল্পকিছু জমি কিনে রাজশাহী সিটি হাট এলাকায় প্রকল্পের সাইনবোর্ড টানানো হয়। সরকারি নিবন্ধন অনুযায়ী, এই যৌথমূলধনি কোম্পানির চেয়ারম্যান শাহীন আকতার রেনী। যিনি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের স্ত্রী। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাদের জমি দখলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে কোম্পানিটি। ইতোমধ্যে জমির প্রকৃত মালিকরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছেন। তারপরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), রাজশাহীর পক্ষ থেকে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে উত্তরায়ন আমানা সিটির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে রাজশাহীতে আমানা গ্রুপ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারা ইভ্যালি, ডেসটিনি, যুবক, এহসানসহ নানা বিতর্কিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মতো রাজশাহীতে গ্রাহকদের কাছ থেকে বিপুল টাকা বিনিয়োগের নামে প্রতারণার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিষয়গুলো অনতিবিলম্বে তদন্ত করে যথোপযুক্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে ক্যাব। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘ক্যাবের স্মারকলিপি পাওয়ার পর জেলা প্রশাসককে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী তিন ফসলি জমিতে আবাসন প্রকল্প তৈরির সুযোগ নেই।’ ব্রিটেনে রহস্যময় কোম্পানি : অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর ব্রিটেনে নিবন্ধিত ‘অ্যাপোলো নোভা লিমিটেড’ নামের কোম্পানির শুরুতে একক পরিচালক ছিলেন পাকিস্তানি নাগরিক তাহির রউফ। ১ পাউন্ড মূলধনে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানির নাম পরের বছরই বদলে রাখা হয় ‘অ্যাপোলো নোভা ক্যাপিটাল লিমিটেড’। ওই বছরের এপ্রিলে রয় পল মিলার নামের এক ব্রিটিশ নাগরিককে মাত্র তিন মাসের জন্য কোম্পানির পরিচালক করেন তাহির। ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর এই অ্যাপোলো নোভা ক্যাপিটাল লিমিটেডের পরিচালক হিসাবে যুক্ত হন রাজশাহীর আমানা গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসউদুল হক ও নির্বাহী পরিচালক আবু সাঈদ চৌধুরী। এই কোম্পানির নিবন্ধিত সবশেষ ঠিকানা অক্সটেড শহরের ইডেন প্লেসের হার্ডউইক হাউজের ৫ নম্বর অ্যাপার্টমেন্ট। কোম্পানিতে পরিচালক হওয়ার পর আগের পরিচালক তাহির রউফকে কোম্পানির সেক্রেটারি পদ দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর অ্যাপোলো নোভা ক্যাপিটাল লিমিটেডের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় আমানা বিগ বাজার। এখন পর্যন্ত বিদেশে বিনিয়োগের কোনো অনুমোদন চায়নি আমানা গ্রুপ। এক্ষেত্রে বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা কোম্পানির শাখা খোলার তৎপরতা অবৈধ। জানা যায়, হার্ডউইক হাউজের যে অ্যাপার্টমেন্টটিতে কোম্পানির কার্যালয় হিসাবে নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে, সেটা একটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট। ৮১৭ বর্গফুটের ফ্ল্যাটটির ভাড়া প্রতিমাসে প্রায় ৩ হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা। ২ মে একই ঠিকানায় আরও একটি কোম্পানি নিবন্ধিত হয়েছে। কোম্পানির নাম সুইস মার্স গ্রুপ লিমিটেড। তাহির রউফের সঙ্গে এ কোম্পানির পরিচালক হিসাবেও রয়েছেন আমানা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক আবু সাঈদ চৌধুরী। কোম্পানির অনুমোদিত ব্যবসাক্ষেত্র হিসাবে বলা হয়েছে, তারা নিজস্ব রিয়েল এস্টেট কেনাবেচার কাজ করবেন। জানতে চাইলে আমানা গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম বলেন, ‘আমরা ফ্রি অব কস্টে ব্রিটেনের এই কোম্পানির পরিচালক হয়েছি। ওখানে কোনো লেনদেন হয়নি। এ কারণে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন মনে করিনি।’ অর্থনৈতিক লেনদেন না হলে সুদূর ব্রিটেনে কোম্পানির পরিচালক হওয়ার প্রয়োজন কী ছিল-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাহির রউফের সঙ্গে আমাদের একটা চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তি অনুযায়ী ব্রিটেনে কোম্পানি দেখিয়ে উনি আমাদের একটা বড় ফান্ডের ব্যবস্থা করে দেবেন। ফান্ড থেকে তিনি কমিশন নেবেন। ওই ফান্ড আমরা দেশে নিয়ে আসব।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অফিস ভাড়ার পুরোটাই বহন করছেন কোম্পানির অংশীদার তাহির রউফ। ভবিষ্যতে ফান্ড পেলে সেখান থেকে তার অর্থ পরিশোধ করা হবে। তবে আরেক কোম্পানি সুইস মার্স গ্রুপ লিমিটেডের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। তিনি বলেন, ‘সাঈদের সঙ্গেই তাহির রউফের প্রথম যোগাযোগ হয়েছিল। মূলত ইংল্যান্ডের এই ডিলটাও তারা দুজনে মিলেই করেছে। এ কারণে হয়তো ওরা আলাদা কোম্পানি করেছে।’ পাকিস্তান-দুবাই-ভারত কানেকশন : আরও জানা যায়, পাকিস্তান, দুবাই ও ভারতে আমানা গ্রুপের নেটওয়ার্কে বিস্তৃত। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ব্রিটেনে নিবন্ধিত আরেকটি কোম্পানির নাম ওয়েস্টমুন ক্যাপিটাল এলএলপি। এতে এলএলপি সদস্য হিসাবে পরিচালনার দায়িত্বে আছেন তাহির রউফ। তার সঙ্গে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত প্রভাবশালী স্কটিশ রাজনীতিক নুশিনা মুবারিকের নামও রয়েছে। তিনি কনজারভেটিভ পার্টি থেকে ব্রিটেনের হাউজ অব লর্ডসের সদস্য হয়েছেন। নিজস্ব কোম্পানির মাধ্যমে তিনি পাকিস্তান ও ব্রিটেনের মধ্যে ক্রসবর্ডার বিনিয়োগে সহায়তা করেন। আর রয় পল মিলারের কোম্পানি পরিচালনার তথ্যে দেখা গেছে, তিনি বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে উসমান খানজাদা, শেখ ওয়াক্কাস নেওয়াজ ও মাসুদ কামরান নামের তিন পাকিস্তানি নাগরিকের সঙ্গে ব্যবসায়িক অংশীদারত্ব স্থাপন করেছেন। তাদের সঙ্গে গুরচারণ সিং নামের এক আফগান নাগরিকও রয়েছেন। এই রয় পল এবং তাহির রউফ আমানা গ্রুপের কর্ণধারদের ব্রিটেনে কোম্পানির অংশীদার। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত নথিপত্রে দেখা যায়, দেশে নিবন্ধিত সিবন্ড সিপিং নামের সীমিত দায়বদ্ধ কোম্পানির পরিচালনা পরিষদে আমানা গ্রুপের তিন মুখ্য কর্মকর্তাই রয়েছেন। এই কোম্পানির চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তার কন্যা আনিকা ফারিহা জামান পরিচালক। আরেক পরিচালক ড. এমএএ সরদার। তার প্রকৃত নাম মোহাম্মদ আলমগীর আক্তার সরদার। কলকাতার পার্ক স্ট্রিটে রিভার এজ শিপিং প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির পরিচালকও তিনি। একই নামে শিপিং কোম্পানি আছে পাকিস্তান ও দুবাইয়ে। পাকিস্তানের কোম্পানির নাম রিভার এজ শিপিং প্রাইভেট লিমিটেড হলেও দুবাইয়ে রিভার এজ শিপিং এলএলসি বলে তা নিবন্ধিত। দুদেশেই কোম্পানিটির সঙ্গে যুক্ত জাফর হাবিব নামে এক পাকিস্তানি। বাংলাদেশের সিবন্ড শিপিং এলএলসির ওয়েবসাইটের ডোমেইন নিবন্ধন করা হয়েছে দুবাই থেকে জাফর হাবিবের নামে। এছাড়া সিবন্ড শিপিংয়ের পরিচালকদের মধ্যে একজন ভারতীয় নাগরিক আছেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে দুবাইয়ে বসবাসরত আরেক পাকিস্তানি নাগরিকের। তিনি নিজেও একাধিক শিপিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের স্ত্রী শাহীন আকতার রেনী কাছে দাবি করেছেন, উত্তরায়ন আমানা সিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি। জানতে চাইলে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে তারা একটি কোম্পানি গঠন করেছেন। সরকারিভাবে নিবন্ধনও নিয়েছেন। এখানে আইনের বাইরে কিছু করা হয়নি। আর আমানা গ্রুপের কর্মকর্তারা অন্য কোথায় কী করেছেন, সেটা আমার জানা নেই।