অব্যবস্থাপনার যানজটে তীব্র দুর্ভোগের শঙ্কা

প্রকাশিতঃ জুন ১৩, ২০২৪ | ৮:০৭ পূর্বাহ্ন
মোঃ রাছেল রানা, প্রধান সম্পাদক

সড়কপথে ঈদযাত্রায় অব্যবস্থাপনার যানজটে তীব্র দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে ঘরমুখো মানুষের-এমন শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। তাদের মতে, এখন তুলনামূলকভাবে সড়কের চিত্র কিছুটা ভালো হলেও অব্যবস্থাপনা ও পশুর হাটের কারণে যানজট মাত্রা ছাড়াতে পারে। মহাসড়কের পাশে এবার ২১৭টি পশুহাট বসেছে এবং ১৫৫ যানজটপ্রবণ স্পট রয়েছে। এসবের কার্যকর ব্যবস্থাপনা না করতে পারলে ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে গ্রামে যাওয়া প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের ঈদে আসা-যাওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে। সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, ঈদুল আজহা উদযাপনে সারা দেশের সড়ক ও মহাসড়কে প্রায় ৫০ হাজার বাস-মিনিবাস চলাচল করবে। পাশাপাশি কুরবানির পশুবাহী বিপুলসংখ্যক ট্রাক চলবে। তিনদিনের ঈদের ছুটির কারণে আসা ও যাওয়া দুপথেই যানজটের ধকল সইতে হতে পারে। সাধারণ সময়ের সড়ক ব্যবস্থাপনা আর ঈদের ব্যবস্থাপনার মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকে। তারপর যানজট স্পট, কুরবানির পশুর হাট ও কুরবানির পশুবাহী গাড়ির কারণে যানজটের অসহনীয় দুর্ভোগে যাত্রীদের নাকাল হতে হবে, তা অনেকটাই নিশ্চিত। সংশ্লিষ্টদের আরও অভিমত-সড়ক ও মহাসড়কের পাশাপাশি ঢাকার প্রবেশমুখেও তীব্র যানজট হবে। পাশাপাশি কুরবানির পশুর হাটের কারণে ঢাকার ভেতরেও তীব্র যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এজন্য কুরবানির হাটকেন্দ্রিক সড়কের ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে হবে। সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়কের ১৫৫টি যানজটপ্রবণ স্পট চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এসব জায়গার ব্যবস্থাপনার জন্য নীতিও প্রস্তুত করেছে সংস্থাটি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, শেষ মুহূর্তে এসব কিছুই কাজে আসবে না। বিশেষ করে, ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে সড়ক ও মহাসড়কের পাশে বসছে ২১৭টি হাট। মহাসড়কের পাশে বেশি হাট বসছে কুমিল্লা এলাকায়। পশুর হাটের কারণে ওই সড়কে গাড়ির গতি কমে যায়। সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট এবং ভোগান্তিতে পড়ে লাখো মানুষ। আরও জানা যায়, ঢাকায় প্রবেশ ও বহির্গমনমুখ গাবতলী ও যাত্রাবাড়ীতে বসেছে পশুর হাট। কুরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে গাবতলীর স্থায়ী হাটটি বর্ধিত কলেবরে সেজেছে। এ কারণে এ পয়েন্টে তীব্র যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও এ মুহূর্তে গাবতলী বাসটার্মিনাল এলাকায় ঘরেফেরা মানুষের কোনো চাপ নেই। একই অবস্থা নবীনগর ও চন্দ্রা এলাকার। পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ার পর ওই পয়েন্ট যানজটে স্থবির হয়ে পড়বে। পুলিশের ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভর করবে যানজটের দুর্ভোগ কতটা কম বা বেশি হবে। আবার পদ্মা সেতু দিয়ে যাওয়া গাড়িগুলোকে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের মুখে এবং সায়েদাবাদ এলাকায় যানজটের মুখে পড়তে হতে পারে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এবার সড়কের অবস্থা অনেকাংশে ভালো। তবে পশুবাহী গাড়ি এবং সড়কের পাশে পশুহাটের কারণে যানবাহনের গতি কিছুটা কমতে পারে। আর সড়কের পাশের হাটগুলো মূল সড়কে চলে এলে পরিস্থিতি যে ভয়াবহ হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে মহাসড়কে পশুর হাট বসাতে নিষেধ করা হলেও ইতোমধ্যে বসে গেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ৭০ থেকে ৮০টি পশুর হাট বসেছে। উত্তরাঞ্চলে যানজট কম হবে বলা হলেও বাস্তব অবস্থা সেরকম নেই। পশুর হাট বসানো এবং যানজট স্পটের ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে অসহনীয় ধকল সইতে হবে তা বলা যায়। ঈদুল আজহার যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ৩০ মে সভা করে নির্দেশ দিয়েছেন, ঈদের আগে ও পরে ছয়দিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরি চলাচল বন্ধ থাকবে। আর ঈদযাত্রায় যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে চালকদের বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর প্রবণতা বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নজরদারি বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, ঈদের দিন এবং আগে-পরে ছয়দিন ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, পচনশীল দ্রব্য, গার্মেন্টসসামগ্রী, ওষুধ, সার ও জ্বালানি বহনকারী যানবাহন চলবে। সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো ঈদের দিন এবং আগের সাতদিন ও পরের পাঁচদিন সব সময় খোলা থাকবে। তবে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ নির্দেশনা মানতে হবে। এছাড়া যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন, নিরাপদ ও যানজটমুক্ত করতে পোশাক কারখানাগুলো পর্যায়ক্রমে ছুটি ঘোষণা করতে হবে। তিনি জানান, ঈদযাত্রা যানজটমুক্ত রাখতে ঢাকার প্রবেশপথসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বাড়তি নজরদারি করতে হবে। পাশাপাশি যাত্রীদের নির্বিঘ্ন চলাচলে গাড়ি সরবরাহ পর্যাপ্ত রাখতে হবে। ঈদের পরে নজরদারি কমে যাওয়ায় সড়কে দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সড়কে তদারকি বাড়াতে হবে। বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক : টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, নানা উদ্যোগ ও তৎপরতার পরও ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজটের শঙ্কা করছেন পরিবহণসংশ্লিষ্টরা। গাজীপুর থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেনের যানবাহন যখন এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত দুই লেনে প্রবেশ করে, তখন ধীরগতি থেকে যানজট, আবার এ অংশে যানবাহন বিকল ও সড়ক দুর্ঘটনার কারণে যানজট হতে পারে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ে ধীরগতি, অপরদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু দুই লেনের হওয়ায় বাড়তি চাপে সেখানেও যানজটের উৎপত্তি হতে পারে। যানজট নিরসনে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ ও জেলা পুলিশ। সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ঈদযাত্রায় (ঈদুল ফিতর) ৪ থেকে ৯ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর ৫৩টি গাড়ি বিকল এবং ৮৩টি দুর্ঘটনা ঘটে। ফলে ঈদযাত্রার শেষদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এবারের ঈদুল আজহায়ও দুর্ঘটনা ও বিকল যানবাহনের কারণে যানজটের আশঙ্কা করছেন যাত্রী ও চালকরা। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোলপ্লাজা পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটার সড়কের কাজ এখনো শেষ না হওয়ায় ভোগান্তি রয়েছে। মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ শেষ না হওয়ায় ওই সাড়ে ১৩ কিলোমিটার অংশে থ্রি-হুইলার দাপটের সঙ্গে চলাচল করছে। যাত্রীসাধারণ ও চালকরা যানজট নিরসনে মহাসড়কেও ওই সাড়ে ১৩ কিলোমিটার অংশে নজরদারি বাড়ানোর দাবি করেছেন। আরও জানা যায়, স্বাভাবিক সময়ে ২৪ ঘণ্টায় ১৮ থেকে ২০ হাজার যানবাহন পারাপার হলেও ঈদকে কেন্দ্র করে ৫৫ হাজারের অধিক যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার হয়। স্বাভাবিক সময়ে সেতুর উভয় প্রান্তে ১২টি বুথে টোল আদায় করা হলেও ঈদকে কেন্দ্র করে ১৮টি বুথে টোল আদায় করা হয়। এছাড়াও সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে কালিহাতীর এলেঙ্গা থেকে নলকা সেতু পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ থেকে আসা কয়েকজন চালক জানান, টাঙ্গাইল সড়কে ২৫ থেকে ৩০ ঘণ্টা পর্যন্ত যানজটে আটকে থেকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। গত ঈদেও প্রায় ১৬ ঘণ্টা যানজট ছিল। আগামী ঈদেও নানা কারণে যানজট হবে। এর মধ্যে রয়েছে বৃষ্টি, চালকদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো। এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত সড়ক দুই লেন ছাড়াও বঙ্গবন্ধু সেতুও দুই লেনের। বঙ্গবন্ধু সেতুর লেনের প্রশস্থতা বাড়ানো গেলে যানজট অনেকটাই কম হবে। সিরাজগঞ্জ থেকে আসা পিকআপচালক রাশেদুল হাসান বলেন, পুলিশ যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে, তাহলে যানজট কম হবে। এজন্য ঈদকে কেন্দ্র করে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধ রাখতে হবে। মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোমেন লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ মিজান সারোয়ার জানান, সাড়ে ১৩ কিলোমিটার মহাসড়কের মধ্যে ঈদুল ফিতরে চার কিলোমিটার ব্যবহারের উপযোগী করে দেওয়া হয়। এবারের ঈদে নতুন করে আরও দুই কিলোমিটারের কাজ শেষ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, যত ফিটনেসবিহীন যানবাহন কম আসবে, ততই দুর্ঘটনা ও যানবাহন বিকল কম হবে। এতে যানজটের আশঙ্কাও কম থাকবে। সেতুর পাশে যত যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকবে, ততই যানজটের লক্ষণ থাকে। এজন্য ভাঙতি টাকা দিয়ে টোল পরিশোধ করতে চালকদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে সেতুর টোল পরিশোধ করতে ভাঙতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। তাছাড়া ঈদুল ফিতরের মতো এবারও টোলবুথ বাড়ানো এবং মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা টোলবুথ স্থাপন করা হচ্ছে। রেলসেতুর প্রশস্থতা বৃদ্ধি করার জন্য ঢাকায় আবেদন করা আছে। রেলসেতুর কাজ শেষ হলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অন্য সময়ের চেয়ে মহাসড়কে পশুবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে সেতু দিয়ে স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করছে। টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, ঈদুল আজহায় মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে কয়েকটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ঈদযাত্রায় উত্তরবঙ্গগামী সব যানবাহন এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত একমুখী করে দেওয়া হবে। অপরদিকে উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনগুলো বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর গোলচত্বর হয়ে ভূঞাপুর দিয়ে এলেঙ্গা সড়ক হয়ে ঢাকায় চলে যাবে। এতে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনগুলো দুই লেনের সুবিধা পাবে। তিনি বলেন, পশুবাহী ট্রাক ইতোমধ্যে চলাচল শুরু করেছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে মৌসুমি ফলের ট্রাকভর্তি গাড়ি ঢাকার দিকে যাচ্ছে। মহাসড়কে পরিবহণ চলাচল নির্বিঘ্ন করতে জেলা পুলিশের সাত শতাধিক সদস্য পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া বৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে যাতে পুলিশ মাঠে থাকে, সে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সভা করা হয়েছে। মহাসড়কে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ জেলা প্রশাসকের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন। ভূঞাপুর প্রতিনিধি জানান, ঈদুল আজহা ঘনিয়ে আসায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এ অংশে কোথাও থেমে থেমে যানজট হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর টোলপ্লাজা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত এলাকায় থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি এবং যানবাহনগুলো বুধবার ধীরগতিতে চলাচল করেছে। বুধবার খুব ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত মহাসড়কের এলেঙ্গা, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেল স্টেশন ও সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কের ১৪ কিলোমিটারজুড়ে প্রায় দিনভর থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি ও যানবাহনের গতি ধীর ছিল। দুপুরের দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। জানতে চাইলে হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত গাড়ির অতিরিক্ত চাপ ও ধীরগতি ছিল। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত মহাসড়কে চার লেনের কাজ এবং সড়কে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণে এমন যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে দুপুরের পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।