টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বের খেলা শেষের দিকে। এখন চলছে সুপার এইটে ওঠার লড়াই। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকটাই এগিয়ে আছে। দুই ম্যাচ খেলে এক ম্যাচ জিতে ২ পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডসও দুই ম্যাচ খেলে ২ পয়েন্ট পেয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ রানরেটে এগিয়ে থাকায় দ্বিতীয় আর নেদারল্যান্ডস তৃতীয় অবস্থানে আছে। অন্যদিকে তিন ম্যাচ থেকে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপপর্বের তৃতীয় ম্যাচে আজ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। যেখানে জয় পেলে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের সুপার এইটে খেলা। আর হারলে শঙ্কায় পড়ে যাবেন শান্ত-সাকিবরা। নেদারল্যান্ডসের সামনেও সমীকরণ অনেকটা একই। তাই দুদলই জয় পেতে মুখিয়ে আছে। তবে এই ম্যাচে নামার আগে বাংলাদেশকে স্বস্তিই দিচ্ছে দুই দলের অতীত পরিসংখ্যান। এর আগে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। সেখানে তিনটিতেই জয় পেয়েছে তারা। সবশেষ ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৯ রানের জয় পেয়েছিল তারা। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে একমাত্র হার সেই ২০১২ সালে। সেবার নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ বলে নাটকীয়ভাবে ১ উইকেটের জয় পেয়েছিলেন । এদিকে গত ভারত বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বাংলাদেশকে হারানোর সুখস্মৃতি রয়েছে। কলকাতার ইডেন গার্ডেনে সেই ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে ৮৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। এর আগেও তাদের বিপক্ষে ওয়ানডে হারের ইতিহাস আছে বাংলাদেশের। তা ছাড়া ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সঙ্গে খেলা তিন ম্যাচের ছোট পরিসংখ্যানে বাংলাদেশকে দুটিতেই হারানোর কীর্তি আছে ডাচদের। তবে ক্রিকেট তো দিন শেষে কেবল পরিসংখ্যানের খেলা নয়। নিজেদের দিনে সেরা খেলাটা খেলেই ম্যাচ জিততে হয়। বাংলাদেশ নিশ্চয় সেটিই চাইবে। তারাও নিশ্চয়ই বাংলাদেশকে হারিয়ে সুপার এইটে খেলার সুযোগ হেলায় হাতছাড়া করবে না। অবশ্য এ ম্যাচে হেরে গেলেও সুযোগ থাকবে দুদলের সামনে। তবে সে ক্ষেত্রে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে জয়ের সঙ্গে মেলাতে হবে রান রেটের কঠিন সমীকরণও। সঙ্গে প্রত্যাশা করতে হবে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারের।