উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার দিপাক্ষিক সহযোগিতা চুক্তির জবাবে এবার দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত হয়েছে। শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো তায়ে-ইউল গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি টোকিও ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে সিউলের নিরাপত্তা সহযোগিতা শক্তিশালী করার কারণ হিসেবে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে নতুন করে নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া আসন্ন গ্রীষ্মে ‘এজ অব ফ্রিডম’ নামের একটি যৌথ সামরিক মহড়া চালাবে বলেও জানান চো তায়ে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটি অর্থবহ এবং আমরা যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের মতো বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে সময়মতো পরামর্শের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বকে একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছি।’ চো তায়ে বর্তমানে নিউইয়র্ক অবস্থান করেছেন। তিনি সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে সেখানে যান। দক্ষিণ কোরিয়া এ মাসে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ায়, চো কাউন্সিলের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এদিকে বিগত বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন ভুয়া অভিযোগ ছড়িয়ে উত্তর কোরিয়াকে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। তবে উল্টো ওই অঞ্চলে উত্তেজনা সৃষ্টি করার জন্য ওয়াশিংটন ও তার মিত্রদেরই দায়ী করে আসছে পিয়ংইয়ং। এর আগে চীনা সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এক বক্তব্যে পূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ওয়াশিংটন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও ন্যাটোর মতো একটি সংস্থা গঠন করতে চায়। আধিপত্যবাদী দেশটির উদ্দেশ্য এ অঞ্চলেও নিজের অবৈধ আধিপত্য ধরে রাখা। সূত্র: ইয়েনিসাফাক