আতঙ্কের নতুন নাম এখন চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার। দেশের প্রায় ২৮টি জেলায় বিষধর এ সাপ ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। রাসেলস ভাইপার নিয়ে দেশজুড়ে আতঙ্কের খবর উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সাপের কামড়ের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার খবরের পর দেশটির সব স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালকে অ্যান্টি-ভেনম মজুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাপের কামড়ের শিকার ব্যক্তিদের যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বিবিসি বলছে, বাংলাদেশের গ্রামীণ হাসপাতালগুলো থেকে সাপের কামড়ের শিকার রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির তথ্য জানানো হচ্ছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই দক্ষিণ এশিয়ায় পাওয়া যাওয়া রাসেলস ভাইপার সাপের কামড়ের শিকার। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে সামাজিক মাধ্যমেও আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই রাসেলস ভাইপার। প্রায়শই মানুষের বসতির কাছাকাছি মিলছে এ রাসেলস ভাইপার। এছাড়া ফসল কাটার সময় কৃষি জমিতেও দেখা মিলছে বিষধর এই সাপের। ২০২৩ সালের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৭ হাজার মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়। যদিও দ্রুত অ্যান্টি-ভেনম দিয়ে চিকিৎসা করা হলে কোনো ক্ষতি হয় না। রাসেলস ভাইপারকে ২০০২ সালে বাংলাদেশে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলেও, সেটি আবারও ফিরে এসেছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, সাধারণত শুষ্ক এলাকায় গেলেও, জলবায়ুর ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে রাসেলস ভাইপার। আর এখন তা বাংলাদেশের অন্তত ২৮টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে।