একসময় বেকহ্যাম পরিবারের সঙ্গে বেশ ভাব ছিল ব্রিটিশ প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান মার্কেলের। হ্যারির সঙ্গে বাগদানের সময় বেকহ্যামের কাছে ডিজাইনার পোশাক এবং হ্যান্ডব্যাগ চেয়েছিলেন মেগান। এমনকি ভিক্টোরিয়া বেকহ্যামের ফ্যাশন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার করতেন তিনি। কিন্তু কিছু সময় পর বেকহ্যামদের বিলাসবহুল জীবনধারার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েন মেগান। এছাড়া সংবাদমাধ্যমকে বেকহ্যামরা তার ব্যাপারে স্পর্শকাতর তথ্য দিচ্ছে বলেও সন্দেহ করা শুরু করেন তিনি। এই দুই কারণে ক্রমেই হ্যারি এবং মেগানের সঙ্গে বেকহ্যামদের সম্পর্কের অবনতি হয়। সেলিব্রিটিদের জীবনীলেখক টম বোয়ার সম্প্রতি নতুন বই প্রকাশ করেছেন। ‘দ্য হাউস অব বেকহ্যাম’ নামের সেই বইয়ে মেগানের সঙ্গে বেকহ্যামদের সম্পর্কে তিক্ততার বিষয়টি উঠে এসেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল জানায়, সংবাদমাধ্যমে মেগানের বিষয়ে তথ্য পাচার নিয়ে ডেভিড বেকহ্যামের কাছে ‘অভিযোগ’ করেছিলেন প্রিন্স হ্যারি। তার অভিযোগ শুনে তখন তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছিলেন সাবেক ইংলিশ ফুটবলার বেকহ্যাম। মেগানের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ভিক্টোরিয়া বেকহ্যাম সে সময় এক বিউটিশিয়ানকে দোষ দিয়েছিলেন। এ ঘটনার পর মেগানের সঙ্গে বেকহ্যামদের দূরত্বের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। ২০১৮ সালে প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে মেগানের বিয়ের বিশেষ নৈশভোজে বেকহ্যামদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এর পালটা হিসেবে ২০২২ সালে ছেলে ব্রুকলিন বেকহ্যামের বিয়েতে প্রিন্স হ্যারি ও মেগানকে আমন্ত্রণ জানাননি ডেভিড ও ভিক্টোরিয়া বেকহ্যাম। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি