বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ফলে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দর-চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১টায় আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সতর্ক সংকেত জারি থাকবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আরেক বার্তায় বলা হয়েছে, ২৮ জুন বিকাল ৩টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত দেশের ফরিদপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়াও অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের স্ক্রলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দেখাতে বলা তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ২৮ জুন সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় ভারি (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারি (৮৯ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আরও বলা হয়েছে, ভারি বর্ষণজনিত কারণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে, ২৮ জুন সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে পঞ্চগড়ের তেুঁতলিয়ায়। সর্বনিু তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল মাদারীপুরে এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়। সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে অধিদপ্তর বলেছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র প্রবল অবস্থায় রয়েছে।