প্রতিদিন অফিসে যেতে নারাজ ইউরোপের এক-তৃতীয়াংশ চাকরিজীবী। তারা মূলত বাড়িতে বসে কাজ করতে আগ্রহী এবং এই সুবিধা পেলে প্রয়োজনে চাকরি বদলাতেও রাজি। সম্প্রতি ইউরোজোনের বাসিন্দাদের ওপর ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) এক জরিপে উঠে এসেছে এমন তথ্য। ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ বা বাড়িতে বসে কাজ সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণের প্রশ্নে এখনো একমত হতে পারেনি ইউরোপের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো। এ বিষয়ে আলোচনা এখনো চলমান। বিশেষ করে, ইসিবিসহ নানা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ইউনিয়ন ও মালিকদের মধ্যে মতপার্থক্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মূলত, কর্মীরা যতদিন বাড়িতে বসে কাজ করার সুবিধা চান, ততটা দিতে আগ্রহী নয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো। গত সপ্তাহে প্রকাশিত ইসিবির গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, কর্মীরা প্রয়োজনে চাকরি বদলাতে রাজি, যদি তাদের ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়। ৩০ শতাংশ কর্মী বাড়িতে বসে আরও বেশি দিন কাজ করতে চান। আরও পড়ুন>> ২০২৩ সালেও ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ অব্যাহত থাকবে? গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়, কর্মচারীরা বাড়িতে বসে কাজের সুযোগ পেতে নতুন চাকরি খুঁজছেন এবং তারা বাস্তবিকই চাকরি পরিবর্তনে আগ্রহী। jagonews24 গবেষণায় দেখা গেছে, দুই-তৃতীয়াংশ কর্মী সপ্তাহে অন্তত একদিন বাড়িতে বসে কাজ করতে চান। এর কারণ হিসেবে তারা অফিসে যাতায়াতের সময় বাঁচানোর কথা বলেছেন। আরও পড়ুন>> বায়ুদূষণে সতর্ক ব্যাংকক, ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’র পরামর্শ যেসব কর্মীর অফিসে যেতে এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে, তারা মাসে অন্তত ১০ দিন বাড়িতে বসে কাজ করার পক্ষে। আর যাদের ১৫ মিনিটের কম সময় লাগে, তারা গড়ে ছয়দিন বাড়িতে বসে অফিস করতে চান। করোনা মহামারির পর এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ কিংবা ঘরে বসে অফিস করার মডেলটি রয়ে গেছে। অনেকের ধারণা, চলমান অর্থনৈতিক মন্দার পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরও কোম্পানিগুলো ওয়ার্ক ফ্রম হোম অব্যাহত রাখবে ও তুলনামূলক কমসংখ্যক কর্মী দিয়ে কাজ চালানোর চেষ্টা করবে। আরও পড়ুন>> করোনা গেলেও থেকে যাবে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’: বিল গেটস এ ক্ষেত্রে দুটি মতবাদ রয়েছে। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন, বাড়ি বসে অফিস করার সুবিধা রয়েছে ও অধিকাংশ মানুষ ঘরোয়া পরিবেশে কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আবার আরেক পক্ষ মনে করেন, অফিস ছাড়া কাজের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয় না ও কর্মক্ষেত্রের সংস্কৃতি মানেই অফিসে বসে কাজ করা।