তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানার ১৩ দিনের মাথায় সমাপ্ত হচ্ছে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকেপড়া ও নিখোঁজদের জন্য উদ্ধার অভিযান। তুর্কি দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (আফাদ) প্রধান জানিয়েছেন, রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতেই শেষ হতে পারে তাদের এই কার্যক্রম। খবর আল-জাজিরার। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আফাদ প্রধান ইউনিস সেজার বলেছেন, তুরস্কে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ হাজার ৬৪২ জনে পৌঁছেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকেপড়া লোকদের সন্ধান ও উদ্ধারের কাজ শেষ হয়েছে দেশের বেশিরভাগ প্রদেশে। তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাস, আগামীকাল (রোববার) রাতেই আমরা অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করবো। আরও পড়ুন>> হেঁটে-সাইকেল চালিয়ে তুরস্ক অফিসে ত্রাণ পৌঁছাচ্ছেন বাংলাদেশিরা গত ৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ এক ভূমিকম্প। এর কয়েক ঘণ্টা পরে ফের ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয় ওই অঞ্চলে। এতে পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় তুরস্কের দক্ষিণ এবং সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন ১০ লাখের বেশি মানুষ। ভয়াবহ এ দুর্যোগে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে কয়েক হাজার কোটি ডলারে। আরও পড়ুন>> তুরস্কে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মানবিক দৃষ্টান্ত সেজার বলেন, আমরা সম্ভবত ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি। ভূমিকম্প ও আফটারশকের ক্ষয়ক্ষতি কেবল ১১টি প্রদেশেই সীমাবদ্ধ ছিল না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা, ভূমিকম্পের পর তুরস্ক-সিরিয়ায় প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষের মানবিক সহায়তা জরুরি হয়ে পড়েছে। আরও পড়ুন>> উদ্ধারকাজ শেষ না হতেই সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৫ এদিকে, ভূমিকম্প আঘাত হানার ১২ দিন পর তুরস্কের আন্তাকিয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে একটি সিরীয় শরণার্থী পরিবারকে উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকারীরা। জীবিত উদ্ধার হওয়া লোকদের মধ্যে একটি শিশু ছিল। বাবা-মা বেঁচে থাকলেও শিশুটি পরে পানিশূন্যতার কারণে মারা গেছে। তার দুই সহদরকেও বাঁচানো যায়নি।